বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনা ও লকডাউনের ধাক্কা পড়েছে পাবনার গবাদি হাটগুলোতে। ফলে এ বছর লোকসানের আশঙ্কায় আছে খামারি ও চাষীরা। কয়েকজন গরু ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, এবারের কঠোর লকডাউনে পাবনায় গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া কম আমদানি হচ্ছে। আবার হাটে ক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। প্রতি বছরই পাবনা থেকে দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা গরু-মহিষ কিনে থাকে। এ বছর পাবনা অঞ্চলে দেশের বিভিন্ন জেলার সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লাখ গরু-মহিষ। লকডাউন উপেক্ষা করে হাটে গরু-ছাগল নিয়ে আসছেন অনেকে। কারণ কোরবানিতে বিক্রি করতে না পারলে তাদের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হবে। সরেজমিন দেখা যায়, হাটে গবাদিপশুর আমদানি কম। নসিমন, করিমন বন্ধ থাকায় দূর-দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে গরু নিয়ে হাটে আসছেন অনেকে। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারী ও পাইকাররা আসছে না।
সেলন্দা গ্রামের খামারি আজম খান তার খামারের সবচেয়ে বড় ষাঁড় গরুটি বিক্রি করতে হাটে নিয়ে এসেছেন। আজম বলেন, দাম ধরেছি তিন লাখ টাকা। স্থানীয় কিছু ক্রেতা ও ব্যাপারী দাম বলছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। বেড়া উপজেলার পায়না গ্রামের আসাদুল নামের গরু ব্যবসায়ী বলেন, গরু বিক্রি করতে না পারায় সংসার চালানো নিয়ে সমস্যায় পড়তে হবে।
এদিকে হাটগুলোয় সামাজিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। কয়েকটি হাটের ইজারাদার বলেছেন, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মাইকিং করা হচ্ছে। হাটে মাস্ক ব্যবহার করতে ক্রেতা-বিক্রেতাকে অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু কেউ কথা শুনছে না। হাটগুলো থেকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে বলে সচেতন মহল আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।