Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

করোনা, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পর সাইটোমেগালো ভাইরাস হানা!

কতটা মারাত্মক? কী উপসর্গ?

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

ভারতে করোনার দু’টি ঢেউ আছড়ে পড়তেই বদলে গেছে মানুষের জীবন। ভয় বাড়িয়েছে অক্সিজেন সমস্যা। পরিস্থিতি একটু সামলাতেই চোখ রাঙিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। সেই ভয় এখনও কাটেনি তার মধ্যে নতুন করে ভয় বাড়াচ্ছে সাইটোমেগালোভাইরাস। গবেষকরা বলছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ হয়ে ওঠার ২০-৩০ দিন পর এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। পেটে ব্যথা ও মলদ্বার থেকে রক্তপাতের লক্ষণ দেখা গেছে। দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে এ ভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৫ জনকে শনাক্ত করা গেছে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের। ড. মালা কানেরিয়া মুম্বই জসলোক হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টারের চিকিৎসক, ড. বিবেক দেভার আহমেদাবাদ, নারায়ণ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ও ড. পঙ্কজ আনন্দ, জয়পুর, ফোর্টিস এসকর্টস হাসপাতাল, কেয়ার ও আইসিইউ বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসক এই সাইটোমেগালো ভাইরাস এবং এর লক্ষণ সম্পর্কে কিছু কথা বলেছেন, সেগুলি নিচে ব্যাখ্যা করা হল। সাইটোমেগালো ভাইরাস বা সিএমভি নতুন কোনও ভাইরাস নয়। এটা ইতিমধ্যেই ভারতে ৮০% - ৯০% জনসংখ্যার মধ্যে উপস্থিত। এটা একটি ডবল স্ট্যান্ডার্ড ডিএনএ ভাইরাস। এটা হারপিস ভাইরাসের বংশ বলে জানা গিয়েছে। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা রয়েছে, তাদের জন্য চিন্তার বড় কারণ নয়, তবে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা যাদের কম রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে। এই ভাইরাসের দ্বারা যে কোনও বয়সের মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। করোনা রোগীদের স্টেরয়েড নেওয়ার কারণে, রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। সেই সময়ে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ায়। ভাইরাসটি রক্ত, ইউরিন এবং লালার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভাইরাসের দ্বারা মস্তিষ্ক, হার্ট, ফুসফুস, অন্ত্র এবং কিডনি-সহ শরীরে অন্যান্য অঙ্গে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা থাকে।

স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের অধ্যাপক, অনীল অরোরা একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “এপ্রিল-মে মাসে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ চলাকালীন আমরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচজন রোগীর পরিচয় পেয়েছি। যাঁদের মধ্যে পেটে ব্যথা, মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া ইত্যাদির লক্ষণ ছিল। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। যে সব করোনা রোগীকে স্টেরয়েড বা অন্যান্য অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি ড্রাগ দেওয়া হয়েছে তাঁদের জন্য এই ভাইরাসের ঝুঁকি থাকছে”। চিকিৎসকদের মতে, সাইটোমেগালো ভাইরাসের লক্ষণগুলি হল, জ্বর, গলা ব্যথা, গায়ে-হাতে-পায়ে ব্যথা, ক্লান্তি, ত্বকের সমস্যা দেখা দেওয়া। রোগীর শরীরে রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা ভালো থাকলে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে কোনও চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হওয়া যায়। আর যদি কোনও রোগীর রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা দুর্বল হয় তাহলে ফুসফুস, চোখ, কিডনি, লিভার, মস্তিষ্কে প্রভাব পড়তে পারে। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ডায়রিয়া বা মলদ্বার দিয়ে রক্ত বেরোনোর লক্ষণও দেখা দেয়। এই লক্ষণগুলি খুব মারাত্মক হতে পারে। সূত্র : নিউজ১৮।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ