Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ডিজিটাল কানেকটিভিটি অগ্রযাত্রার অভ্যাজ্য অনুষঙ্গ

রিফাত জাফরীন | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

সমাজ এবং দেশ গঠনে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার মূলে রয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্য। জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেন, যাকে কেন্দ্র করে নতুন বাংলাদেশের বিনির্মাণের শুরু। জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে দেশের মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করছে। শ্রেণী, ধর্ম, বর্ণ, গ্রাম-শহর নির্বিশেষে সকলের দোরগোড়ায় সহজে সাশ্রয়ী মূল্যে এবং দ্রুততার সাথে সরকারি সেবা পৌঁছে দেয়াই ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ। আর তা বাস্তবায়নে দেশের ইউনিয়ন পর্যায় থেকে মন্ত্রণালয় অবধি সমন্বিত ই-সেবা কাঠামো বা ডিজিটাল কানেকটিভিটি গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে নিরলস। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এর সহায়তার অ্যাস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রকল্প এ কর্মযজ্ঞে প্রধান ভূমিকা রাখছে।

দেশের উন্নতি ত্বরান্বিত করতে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ডিজিটাল কানেকটিভিটি ও অবকাঠামো, মানবসম্পদ উন্নয়ন, আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন এবং ই-গর্ভন্যান্স প্রতিষ্ঠা করা অন্যতম প্রধান আবশ্যকতা, যার অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নকে ডিজিটাল নবজাগরণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিশেষজ্ঞগণ। সে লক্ষ্য নিয়ে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে এবং রূপকল্প বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং ই-সার্ভিস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখেই কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

দেশের সর্বনিম্নস্তর পর্যন্ত উচ্চগতির ইলেকট্রনিক সংযোগ ব্যবস্থা সৃষ্টি করা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে যথাযথ অবকাঠামো সৃষ্টি করা, সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডে সমন্বয় সাধন করাসহ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো হতে নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানের উদেশ্যে কার্যকর রক্ষণাবেক্ষণ সম্পন্ন করার মতো উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে কাজ করছে সরকার। এছাড়া সরকারি পর্যায়ে দক্ষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রফেশনাল সৃষ্টির লক্ষ্যে আইসিটি সার্ভিস সৃষ্টি করা, দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির জন্য প্রশিক্ষিত জনবলের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট আইন, নীতিমালা, গাইডলাইন ও প্রমীতকরণ প্রস্তুতি সম্পন্ন করাও এ উদ্দেশ্যসমূহের আওতায়।

এ লক্ষ্য বাস্তবায়নেই এটুআই এর সহযোগিতায় বর্তমানে প্রায় সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে শুরু করে মাঠ পর্যায়েও বৃহৎ পরিসরে ই-সেবা প্রদান করা হচ্ছে। কিশোর বাতায়ন, ডিজিটাল সেন্টার, জাতীয় তথ্য বাতায়ন, ই-নথি, একশপ, একপে, জাতীয় হেল্প লাইন-৩৩৩, মুক্তপাঠ, শিক্ষক বাতায়ন, এসডিজি ট্র্যাকার, ই-মিউটেশন, উত্তরাধিকার ক্যালকুলেটর, ডিজিটাল ভূমি রেকর্ডরুম, মাইগভঅ্যাপ, ডিজিটাল সার্ভিস ডিজাইন ল্যাব, আই ল্যাব, ইনোভেশন ল্যাবের মতো উদ্যোগগুলোর সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল কানেকটিভিটি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে।

তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নে বাংলাদেশের এগিয়ে চলার বিষয়টি স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে। ২০১৪ সালে বিশ্বখ্যাত প্রথম সারির ম্যানেজমেন্ট কনসালটিং ফার্ম এটি কারনির গ্লোবাল সার্ভিস লোকেশন ইনডেক্সে (জিএসএলআই) বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো স্থান করে নেয়, যে তালিকার ৫০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৩২। বিভিন্ন কার্যকর উদ্যোগের ফলে কয়েক বছর ধরে তথ্যপ্রযুক্তিতে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করে আসছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে আইটিইউ অ্যাওয়ার্ড, সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড, গার্টনার এবং এটি কারনিসহ আরো বেশকিছু সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রযুক্তির এক দশকের এই বিস্ময়কর অগ্রযাত্রায় মহাকাশেও বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইটের সফল উতক্ষেপণ বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়।

তথ্যপ্রযুক্তিখাতে দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার প্রভাব রয়েছে অর্থনৈতিক খাতেও। বর্তমানে দেশের আইসিটি খাতের আয় ১০০ কোটি ডলার। এ আয় ৫০০ কোটি ডলারে উত্তীর্ণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। বিশ্বের ৬৭টি দেশে এ খাতের বিভিন্ন পণ্য ও সেবা রপ্তানি হচ্ছে। এ খাতের রপ্তানি আয় ছাড়িয়ে গেছে এক বিলিয়ন ডলার, যা প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা। আর এ লক্ষ্যে প্রযুক্তি বিকেন্দ্রীকরণ করা হচ্ছে, যার আওতায় অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্য নিয়ে ইতোমধ্যে দেশজুড়ে ২৮টি হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। হার্ডওয়্যার খাতে এরই মধ্যে দেশে স্মার্টফোন সংযোজন করেছে ৯টি ব্র্যান্ড। সফটওয়্যার সেবার বাজার দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশই দেশি সফটওয়্যার নির্মাতারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। ডিজিটাল অর্থনীতিতে বাংলাদেশের চমকপ্রদ অগ্রগতি হুয়াওয়ের গ্লোবাল কানেকটিভিটি ইনডেক্স-২০১৯ এ টপমুভার তালিকা জায়গা করে নেওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলায় দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে জোর দিচ্ছে। কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইন, রোবোটিক্সের মতো প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে দক্ষ জনবলের কোনো বিকল্প নাই। অবকাঠামো উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সারাদেশে উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কানেকটিভিটি স্থাপনের জন্য বাংলা গভনেট ও ইনফো সরকার-২ প্রকল্প বাস্তাবায়ন করছে। ফলে ৫৮ টি মন্ত্রণালয়, ২২৭ টি অধিদপ্তর, ৬৪টি জেলার প্রশাসকের কার্যালয় এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ১৮ হাজার ৫০০টি সরকারি অফিস নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। ৮০০ টি সরকারি অফিসে ভিডিও কনফারেন্স সিস্টেম, ২৫৪ টি অ্যাগ্রিকালচার ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন সেন্টার (এআইসিসি) ও ২৫ টি টেলিমেডিসিন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা যাতে অফিসের বাইরে থেকেও দাপ্তরিক কাজ সুচারুভাবে সম্পাদন করতে পারেন, সেজন্য তাদের মাঝে ২৫ হাজার ট্যাব বিতরণ করা হয়েছে। দেশের ১৬ কোটি ২৯ লাখ মোবাইল গ্রাহকদের মধ্যে ১০ কোটি ৩৪ লাখের বেশি মানুষকে ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল কানেকটিভিটি ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করার ফলে।

দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার ৭৭২টি ইউনিয়নে ইন্টারনেট সংযোগ দিতে ‘কানেকটেড বাংলাদেশ’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন ৩য় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ২৬০০টি ইউনিয়নের অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলের মাধ্যমে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন এবং ১০০০টি পুলিশ অফিসে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া নেটওয়ার্কিং, মোবাইল অ্যাপস, মোবাইল গেমস এবং সাইবার সিকিউরিটি বিগডেটা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে বিসিসিতে ১টি Specialized Network Lab এবং ১টি Special Effect Lab স্থাপন করা হয়েছে। ই-সেবা উন্নয়ন ও ব্যবহার সহজীকরণে Bangladesh National Digital Architecture (BNDA) এর উন্নয়ন করা হয়েছে। বিসিসিতে সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার কোয়ালিটি টেস্টিং ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। দেশে টেকসই উদ্ভাবনী ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি স্থাপন করা হয়েছে। সিলেট জেলায় IP Camera Based Surveillance Facility স্থাপন এবং সিলেট ও কক্সবাজার জেলায় চঁনষরপ ডর-ঋর তড়হব চালু করা হয়েছে। ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাব ‘সাইবার রেঞ্জ’ সাইবার ডিফেন্স প্রশিক্ষণ সেন্টার প্রতিষ্ঠা করাসহ ১৫টি নিদিষ্ট সরকারি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোতে Critical Information Infrastructure সাইবার সেন্সর প্রযুক্তি স্থাপন করা হয়েছে। জাতীয় ই-গর্ভন্যান্স নেটওয়ার্ক সুবিধা সহজলভ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের লক্ষ্যে বিসিসিতে জাতীয় নেটওয়ার্ক অপারেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।

আইসিটি শিক্ষার বিস্তার ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭,৭২৮টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। তার মধ্যে জেলা পর্যায়ে ৬৫টি ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব এবং ১০০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে স্থাপিত শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবগুলি স্থায়ীভাবে সাইবার সেন্টার, প্রশিক্ষণকেন্দ্র ও আইসিটি ক্লাব হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এতে করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত স্থাপিত ল্যাবসমূহের মাধ্যমে এলাকার তরুণ-তরুণীরা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা পাচ্ছে। ২০২০-২০২৩ মেয়াদে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (২য় পর্যায়) প্রকল্পের মাধ্যমে আরও ৫০০০টি ল্যাব প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি সংসদীয় আসনে একটি করে মোট ৩০০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আধুনিক সুবিধা সংবলিত স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাবের মাধ্যমে ৯টি ভাষা- ইংরেজি, ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ, জার্মান, জাপানিজ, কোরিয়ান, রাশিয়ান, আরব ও চাইনিজ শেখানো লক্ষ্যে ভাষাগুরু সফটওয়ার তৈরি করা হয়েছে।


বৈশ্বিক মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সময়োচিত নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে দেশের ১৭ কোটি মানুষকে নিরাপদ ও সুস্থ রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। করোনা ভাইরাসের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সরকার গ্রহণ করেছে নানামুখি মানবিক উদ্যোগ। যে সব দেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে এগিয়ে, তারা করোনাকালে বাড়তি সুফল পাচ্ছে। দ্রুত ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রসারে এগিয়ে থাকা দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। করোনাকালে আইসিটি খাতে অগ্রগতির ধারা বজায় রেখেছে বাংলাদেশ। আগের তুলনায় গত বছর ব্রডব্যান্ড, ইন্টারনেট অব থিমস (আইওটি) এবং আটিফিসিয়াল ইন্টালিজেন্স (এআই) ক্ষেত্রে এগিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে সার্বিকভাবে ২০২০ সালে এ খাতে আরও তিন পয়েন্ট যোগ হয়েছে বাংলাদেশের খাতায়। বৈশ্বিক প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ের গ্লোবাল কানেকটিভিটি ইনডেক্স-২০২০ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। সম্প্রতি ৭৯টি দেশের ডিজিটাল ক্ষেত্রে অবকাঠামো ও সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে এটি প্রকাশ করা হয়। এতে দেশ এবং শিল্পের ডিজিটাল রূপান্তর করা সম্পর্কিত অনুমোদন, দিকনির্দেশনা এবং দেশগুলোর ডিজিটাল অগ্রগতির সঠিক মাত্রা তুলে ধরা হয়েছে। কাজেই এই অর্জন দেশের জন্য সম্মানের এবং গর্বের। কোভিড-১৯ মহামারি ডিজিটাল সেবার শক্তি প্রকাশের পাশাপাশি বিশ্বের ডিজিটাল বৈষম্যের স্বরূপও উন্মোচন করেছে, যেখানে বিশ্বের অর্ধেক মানুষের মৌলিক ইন্টারনেট সেবায় প্রবেশাধিকার নেই। এ বৈষম্য দূর করতে সরকার ডিজিটাল কানেকটিভিটির ওপর গুরুত্ব দেয়ায় তা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নারীর সমতায়নসহ সামাজিক পরিবর্তন আনতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। এক্ষত্রে দিন বদলের এ অগ্রযাত্রার তরুণদের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার।

সফল বাস্তবায়ন, অর্থবহ সংযোগ এবং সামর্থ্য নিশ্চিত করা ডিজিটাল কানেটিভিটি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ, যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের সাথে সাথে আমাদেরও হতে হবে দক্ষ, হতে হবে সচেতন এবং দেশপ্রেমী। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে ম্যাকরো থেকে মাইক্রো পর্যায়ে দেশ থেকে ব্যক্তি পর্যন্ত আমাদের উন্নয়ন বা ই-সেবা পরিকাঠামো যেন হয় প্রকৃত এবং টেকসই, যেখানে ডিজিটাল কানেকটিভিটি এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন যেন স্বাক্ষর রাখতে পারে দেশের অদম্য অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার অন্যতম আবশ্যকতা হিসেবে।
লেখক : উপপ্রধান তথ্য অফিসার, তথ্য অধিদফতর



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিজিটাল

১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন