বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলে সব জেলা ও উপজেলা সদরে করোনা ভেকসিন কার্যক্রম সোমবার থেকে শুরুর লক্ষে ইতোমধ্যে প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার চীনা সিনোভ্যক টিকা পৌঁছে গেছে। তবে বরিশাল মহানগরীতে টিকা কার্যক্রম শুরুর বাস্তব কোন কার্যক্রম সম্পর্কে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসন সহ সিভিল সার্জনও কিছু বলতে পারেননি। বরিশাল মহানগরী বাদে দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলা সদরের পৌর এলাকাগুলোতে করোনা প্রতিষেধক ভেকসিন-এর দ্বিতীয় পর্যায়ের কার্যক্রম গত ১৯ জুন থেকে চলছে। এমাসের শুরু থেকে নতুন রেজিষ্ট্রেশন গ্রহনকারীরাও জেলা সদরে ভেকসিন গ্রহন করছেন।
কিন্তু সরকরী নির্দেশনা থাকলেও বরিশাল মহানগরীতে করোনা ভেকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু না হওয়া প্রসঙ্গে বিভাগীয় কমিশনার ও সিভিল সার্জন বিষয়টি সিটি করপোরেশনের এখতিয়ারভ’ক্ত বলে জানিয়েছেন। তবে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ‘স্বাস্থ্য বিভাগ ভেকসিন প্রদান করবে’ বলে জানালেও নগর ভবন থেকে ডা. ফয়সাল’কে এ ব্যাপারে দায়িত্ব প্রদানের কথা জানান। কবে নাগাদ মহানগরীতে করোনা ভেকসিন প্রদান শুরু হবে, সে ব্যাপারে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কিছু বলতে পারেন নি।
গত ৭ ফেব্রুয়ারী থেকে সারা দেশের মত দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলার ৪২টি উপজেলার ৪৬টি কেন্দ্রে করোনা ভেকসিনের প্রথম ডোজ প্রদান শুরু হয়ে জুনের মধ্যভাগ পর্যন্ত ২ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে তা প্রদান করা হয়। ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ ভেকসিন প্রদান শুরু হলেও ২০ জুন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৮০ জনকে প্রদানের পরে ভেকসিনের অভাবে তা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে দক্ষিণাঞ্চলে প্রথম ডোজ গ্রহনকারী প্রায় ৭০ হাজার মানুষ এখনো দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করতে পারেন নি।
চিনা সিনোভ্যাক-এর ভেকসিন পৌছার পরে গত ১৯ জুন থেকে শুধুমাত্র দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলা সদরের ছয়টি কেন্দ্রে তার প্রথম ডোজ প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে মডার্ণা সহ প্রায় ৫০ লাখ ভেকসিন দেশে পৌছায় ৮ জুন থেকে রেজিষ্ট্রেশন সহ তা প্রয়োগের কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সে নিরিখে বৃহস্পতিবার থেকে বরিশাল বিভাগীয় সদর বাদে অন্য সবগুলো জেলা সদরের পৌর এলাকায় ভেকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার ও অতিরিক্ত সচিব সাইফুল ইসলাম বাদলের সাথে অলাপ করা হলে তিনি জানান, বরিশাল মহানগরীতে রেজিষ্ট্রেশন সহ ভেকসিন প্রদানের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সিটি করপোরেশনকে। এমনকি এ কার্যক্রমের যে অন লাইন পাসওয়ার্র্ড ঠিক করা হয়েছে, তাও সিটি করপোরেশনের কাছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতালে দুটি করে মোট ৪টি কেন্দ্রে ভেকসিন প্রদানের সব ব্যবস্থা সহ ভেকসিনেটর ও ভেকসিনের সরবারহ নিশ্চিত করা হয়েছে। যতদ্রত সম্ভব নগরীতে ভেকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরুর লক্ষে জেলা প্রশাসক, নগর ভবনের প্রতিনিধি ও সিভিল সার্র্জনকে নিয়ে মিটিং করার কথাও জানান বিভাগীয় কমিশনার। তবে ঠিক কবে নাগাদ নগরীতে ভেকসিন প্রদান শুরু হবে তা বলতে না পারলেও সিটি মেয়রের সাথে কথা বলে সব ঠিক করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে দেশে নতুন ভেকসিন পৌছার পরে বরিশাল বিভাগের সবগুলো জেলা ও উপজেলা সদরেও তা প্রদানের লক্ষে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। শণিবার সব জেলা ও উপজেলা সদরে ভেকসিন পৌছে যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। রোববার ভেকসিন প্রদানকারীদের প্রশিক্ষনের পরে সোমবার থেকে গনটিকা কার্যক্রম শুরুর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বরিশালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডাঃ বাসুদবে কুমার সাহা। আগামী সপ্তাহ থেকে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলে ভেকসিন প্রদান কার্যক্রমে নতুন গতি আসবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি ।
তবে বরিশাল মহানগরীর বিষয়ে কিছু বলতে না চাইলেও সরকারী নির্দেশনার আলোকে সব জায়গাতেই ভেকসিন কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্যে কাজ চলছে বলেও জানান স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ও বরিশলের সিভিল সার্জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।