পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানিয়েছেন, এখন থেকে ব্যক্তিগত কাজে তিনি রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ও নিরাপত্তা ব্যবহার করবেন না। কারণ এতে জনগণের সমস্যা হয় এবং দেশের কোষাগারের ওপর চাপ বাড়ে। এক টুইট বার্তায় তিনি এ কথা জানিয়েছেন। টুইটে ইমরান খান আরও জানান, মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং গভর্নরদের প্রটোকল ও নিরাপত্তা নিয়েও পর্যালোচনা করছেন তিনি। সরকারের খরচ কমাতেই এমনটা করা হচ্ছে।
সামনের সপ্তাহে এ ব্যাপারে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত জানাবে ইমরানের মন্ত্রিসভা। অপর এক খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে অভিযোগের শেষ নেই। দেশটির বেলুচিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছিল ইমরানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এদিকে গত ৫ জুলাই বেলুচিস্তানে এক জনসমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ইমরান খান বলেছেন, বিদ্রোহীদের সাথে আলোচনায় বসতে চান বেলুচিস্তানের বৃহত্তম উন্নয়নের স্বার্থে। এছাড়া আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও শান্তি বজায় রাখতে হলে প্রতিবেশী দেশগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান তিনি।
ইমরানের ভাষ্যমতে, ‹বেলুচিস্তানকে সবচেয়ে বড় প্যাকেজ দিয়েছে পাকিস্তান। কারণ পাকিস্তান বিশ্বাস করে যে বেলুচিস্তানের জনগণের সাথে ন্যায়বিচার করা হয়নি; তারা পিছিয়ে পড়েছে। স¤প্রতি ইমরানের প্রশাসনের বিরুদ্ধে দেশটির বেলুচিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছিল দ্য ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টারি রিসার্চ সার্ভিস (ইপিআরএস) নামে আন্তর্জাতিক একটি সংগঠন।
বেলুচিস্তানে বসবাসকারী বিভিন্ন সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের মানুষের উপর তারা যে অকথ্য অত্যাচার করছে তার তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে। আর এই বিষয়ে ইউরোপের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত ওই সংগঠনটি হাতিয়ার করেছে পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের একটি রিপোর্টকে। পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশনের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, বেলুচিস্তানের কোয়েটায় বসবাসকারী হিন্দু এবং খ্রিস্টান স¤প্রদায়ের মানুষরা খুব ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কমিশনের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তার প্রমাণও পেয়েছেন।
যদিও পাকিস্তানে সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠীদের ওপর হামলার সংখ্যা সা¤প্রতিক সময়ে কমে গেছে। এদিকে পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা শাহবাজ শরীফ বলেছেন, ইমরান খান দেশকে বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছেন। জনগণকে ধ্বংস করতে কোন প্রকার কার্পণ্য করেননি তিনি। মিংগোরার গ্রাসি গ্রাউন্ডে বহু-দলীয় বিরোধী জোট পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (পিডিএম) এক অনুষ্ঠানে গত রবিবার পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতা শাহবাজ এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় বসার ৯০ দিনের মধ্যে দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসবের কিছুই হয়নি। উল্টো মূল্যস্ফীতি আজ আকাশ ছোঁয়েছে। জনগণের পকেটের মতোই সংসদে প্রধানমন্ত্রীর আসন খালি থাকে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ইমরান খান ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে দেশ ঐতিহাসিক দারিদ্রতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তান এর আগে এমন অবস্থা আর কখনো দেখেনি। দরিদ্রদের জন্য পাঁচ মিলিয়ন বাড়ির ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্তে¡ও একটি ইটও সরকার দেয়নি, যোগ করেন পিএমএল-এনের এই নেতা। ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।