বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্যারাসিটামল এবং একই গোত্রের নাপা, এইস, ফাস্টসহ ট্যাবলেটগুলোর কোনো সংকট নেই খুলনায়। অথচ এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী গুজব ছড়িয়ে এই ট্যাবলেটগুলোর দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে, জ্বর সর্দিসহ ঠান্ডাজনিত ব্যাধিত ওষুধগুলো ব্যবহৃত হয়ে থাকে। চিকিৎসকরা রোগীদের প্রাথমিকভাবে নাপা, প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। চিকিৎসার দ্বিতীয় পর্যায়ে এন্টিবায়োটিক এজিথ্রোমাইসিন ট্যাবলেট দিয়ে থাকেন।
বর্তমানে খুলনাঞ্চলে করোনা বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ জ্বর কাশিতে মানুষ শুরুতেই নাপা বা প্যারাসিটামল গ্রহণ করছেন। ফলে ওষুধগুলোর চাহিদা বেড়ে গেছে। এই সুযোগে কৃত্রিম সংকটের অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
খুলনার পাইকারি ওষুধের বাজার হেরাজ মার্কেটের রহমান ড্রাগস এর মালিক টিটু জানান, ওষুধের সংকট নেই, শুধুমাত্র গুজব ছড়িয়ে নাপার দাম বাড়িয়েছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। নাপা এক্সটেন্ড ট্যাবলেট ১০ টির পাতা ৩০ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ নাপা ৮/১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাতে, খুলনার খালিশপুর ক্লিনিকের সামনের কয়েকটি ফার্মেসিতে দেখা গেছে নাপা বা প্যারাসিটামল ট্যাবলেট নেই। একটি ফার্মেসীতে ১০ টি নাপা এক্সটেন্ড ট্যাবলেট ৬০ টাকা চাওয়া হয়। আবার দৌলতপুরের বিভিন্ন ফার্মেসীতে দেখা গেছে ওষুধগুলো নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে।
একটি ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানীর খুলনার বিপণন কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ জানান, তাদের প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধের কোন সংকট খুলনায় নেই।
খুলনা সদর হাসপাতালের (করোনা হাসপাতাল) চিকিৎসক ডা. মো. রাশেদ জানান, অনেক রোগীই আসছেন যারা অভিযোগ করেন, জ্বরের চিকিৎসায় তাদের চিকিৎসকরা প্যারাসিটামল গ্রুপের ওষুধ খেতে বলেছেন কিন্তু বাজারে পাওয়া যায়নি বলে তারা খেতে পারেননি।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, করোনার কারণে বিভিন্ন ক্লিনিক ও ফার্মেসীতে নিয়মিত অভিযান বন্ধ আছে। অতি দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।