বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চাটখিল উপজেলায় এক ভুয়া সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দুই বছরের কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দন্ডাদেশপ্রাপ্ত ফয়সাল কবির (৩৬) ঢাকা মগবাজার এলাকার চেয়ারম্যান গলির মাহফুজুর রহমান ওসমানের ছেলে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসা এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোস্তাক আহমেদের সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে রামগঞ্জের আল-ফারুক হাসপাতালের এক ভুয়া ডাক্তার নিজেকে সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে চাটখিল আসে। গত কয়েক মাস যাবত এ ভুয়া সার্জারি বিশেষজ্ঞ চাটখিলে বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকে অপারেশন করে আসছিল। খবর পেয়ে নোয়াখালী জেলা বিএমএরসহ-সভাপতি ও চাটখিল নোমান হাসপাতালের পরিচালক ডা. নোমান মঙ্গলবার বিকেলে ফয়সাল কবিরকে চাটখিলে এনে তার সার্টিফিকেট যাচাই বাচাই করে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের কোড জালিয়াতির প্রমাণ পেয়ে তাকে প্রশাসনের হাতে সোপর্দ করেন।
আটককৃত ভুয়া ডাক্তার, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের যে আইডির নাম বলে তাতে এ নামে আরেকজন ডাক্তার আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে ওই ডাক্তারের আইডি কপি করেছে। তার নামও ফয়সাল কবির, বাবার নামও একই। সে পীরগঞ্জে ৩৯ বিসিএসএ মেডিকেল অফিসার। সে পাস করেছে রাজশাহী থেকে। কাকতালীয় ভাবে তাদের চেহারায় অনেক মিল রয়েছে। অভিযুক্ত ভুয়া ডাক্তার বলছে, সে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে পাস করেছে। তবে সে ওই সময়প্রকৃত চিকিৎসক হিসেবে তার পক্ষে কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আবু সালেহ মোহাম্মদ মোসা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাংলাদেশ মেডিকল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইনএর ২৯ ধারায় ভুয়া ডাক্তারকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে চাটখিল থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।