Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিধিনিষেধের ৬ষ্ঠ দিনে ঢাকার সড়কে গাড়ির দীর্ঘ লাইন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৮ পিএম

কঠোর বিধিনিষেধের ষষ্ঠদিনে আজ রাজধানীর সড়কে বেড়েছে মানুষ ও যান চলাচল। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তৈরি হয়েছে যানজট। সড়কে দেখা গেছে, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, ট্রাক, মিনি ট্রাক, রিকশা, ভ্যানগাড়ির দীর্ঘ সারি। প্রতিটি সিগন্যালেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট থাকলে কোনটা কার্যকর কোনটা আবার অকার্যকর। সে কারণে অনেক সড়কে অবাধে যাতায়াত করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ জানায়, শিল্প কারখানা, ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন অফিস খোলা থাকায় অনেককেই বের হতে হচ্ছে। এর বাইরে মানুষ নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছে। এদিকে, নগরীর পাড়া মহল্লায় চায়ের দোকানে আড্ডা ও জটলা আগের দিনগুলোর তুলনায় অনেক বেড়েছে। বাজারগুলোতে মানুষ ভিড় করছে। সেখানেও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর তদারকি নেই বললেই চলে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, কমলাপুর, মৌচাক, মালিবাগ, মগবাজার, বাংলামোটর, কাওরানবাজার, ফার্মগেট, আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোড, শাহবাগ, গুলিস্তান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আগের দিনগুলোর তুলনায় মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। এসব এলাকার মোড়গুলোতে তৈরী হচ্ছে যানজট।

ট্রাফিক পুলিশের কন্ট্রোলরুম সূত্রে জানা গেছে, রামপুরায় আজ সকাল থেকে যানজট লেগেই আছে। রামপুরা থেকে যানবাহনের দীর্ঘসারি গিয়ে ঠেকেছে মধ্যবাড্ডা লিংকরোড পর্যন্ত। থেমে থেমে চলছে গাড়ি। গুলশান-১ নম্বরের প্রবেশমুখ থেকে তৈরি হওয়া যানজট হাতিরঝিল-মধুবাগ পর্যন্ত ঠেকেছে। যানজট লেগেই আছে কাওরানবাজার-পান্থপথ এলাকার চারপাশের সড়কেই। এই দৃশ্য রাজধানীর প্রায় সবগুলো সড়কেই।
এদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গত পাঁচ দিনের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। ব্যস্ত এ মহাসড়কে গাড়ির পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত রিকশাও অবাধে চলাচল করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকার প্রবেশ পথে শিমরাইলে চেকপোস্ট থাকলেও ঢিলেঢালা ভাবের কারণে অনেকটা অবাধেই গাড়ি প্রবেশ করছে মহাসড়ক দিয়ে।
উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১লা জুলাই থেকে সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। করোনার পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় গতকাল কঠোর বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ই জুলাই পর্যন্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।



 

Show all comments
  • mahfuzur rahman ৬ জুলাই, ২০২১, ১:২৪ পিএম says : 0
    প্রয়োজনে মানুষ কে বের হতে হচ্ছে কি বা করার আছে
    Total Reply(0) Reply
  • ABDUR ROUF ৬ জুলাই, ২০২১, ২:১৫ পিএম says : 0
    SARKAS SHUDHU SARKAS
    Total Reply(0) Reply
  • ম নাছিরউদ্দীন শাহ ৬ জুলাই, ২০২১, ২:২৪ পিএম says : 0
    মানুষের মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে লাশের নগরী হচ্ছে লকডাউনে নগরীতে গাড়ির মানুষের ভীড়এটি সমগ্র জাতির সাথে তামাশা দেশের তিন বাহিনীরকে মানুষের তামাশা দেখানোর জন্যে কি নামানোর প্রযোজন ছিল?মহামারী অদৃশ্য ভাইরাসের কঠিন সময় লাশের পর লাশের মিছিল হচ্ছে। কিছু মানুষের টাকার জন্যে নিজকে কোরবানী দিতে প্রস্তুত। জীবন মৃত্যুর মাঝেই মানুষ অদৃশ্য গজবের ভাইরাসের সময়। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার সময় সুন্নত হচ্ছে যে যেখানেই আছেন ঐখানে থাকুন। মানুষ জীবিকার জন্যে দিশাহারা। সরকারের নৃত্য নতুন সিদ্ধান্তের কারণে সমগ্র দেশ জাতি হাসির পাত্র হয়েছে। সরকারের সমালোচনা হচ্ছে সিদ্ধান্তহীনতার জন্যে।ঈদুল আযহা পশুর হাট কোরবানী ঈদ সামনে সন্নিকটে। এখন পশু কোরবানী হবে? নাকি পশুর জন্যে মানুষের কোরবানী দিতে হবে? মহামারীর ভয়ংকর পরিস্থিতি সরকার কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকারের উপর জনগণের জানমালের নিরাপত্তার পবিত্র দায়িত্ব। সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা স্বার্থ সরকারের উপর। এভার পশু কোরবানী সাথে মানুষের জীবন কোরবানী দিতে কিছু ব‍্যবসায়ী প্রস্তুত। এই মুহুর্তে জীবনের জন্যে রাষ্ট্রের জন্যে দেশের মানুষের নিরাপত্তাব্যবস্থা জন্যে জরুরি অবস্থার মত কঠোর কারফিউ ছাড়া বিকল্প নাই। আর যদি কিছুই করার শক্তি সাহস না থাকে স্বাভাবিক পরিস্থিতি করে দিন। মানুষ কে কি বলছেন সমালোচনা করছেন সেটি গুরুত্ব নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানুষের জীবনের নিরাপত্তাব্যবস্থা পুরো দায়িত্ব রাষ্ট্রের। এটি পালনে কঠোর শৃংখলার প্রযোজন। আর শৃংখলার জন্যে প্রযোজন কঠোর শাসন। এই মুহুর্তেই দেশ ও জাতির স্বার্থেই নির্মোহ ভাবে জরুরী কারফিউ। পশু কোরবানী বেচে থাকলে করা যাবে। গজব এলাহীর সময় মানুষকে ধৈর্য্য ধারণ করতে হয়। আল্লাহর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয়। তোওবা করতে হয়। আমাদের হিতাহিত জ্ঞান শূণ্য হয়ে যাচ্ছে। এই কঠিন কঠোর পরিস্থিতিতেই কি করা উচিৎ। কি করা উচিৎ নয় জেনে বুঝে অন‍্যায় করছি। সামনে দেশের প্রতিটি শহর প্রতিটি জেলায় মানুষের লাশের মিছিল হবে। বাংলাদেশ কবরস্থানে পরিণত হবে। পরিস্থিতি সেই দিকে যাচ্ছে। সময় অল্প যদি সরকারের কঠিন নীতি শৃংখলার জন্যে শাসন পদ্ধতি চালু করেন। যদি কারফিউ মত কঠোর শৃংখলা জারি করেন। তবেই শান্তি আশা করা যায়। লিখার জন্যে লিখা এই সবের গুরুত্ব দেওযার কে আছে?? আল্লাহর ওয়াস্তে চলছে চলুক। আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা ফরিয়াদ আর্তনাদ আল্লাহ আমাদের দেশের মানুষ গুলো কে হেফাজত করুন। আমিন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ