বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আন্ত:জেলা ডাকাতদলের দুর্ধর্ষ ১১ সদস্যের বিরুদ্ধে খুলনার আদালতে চার্জশীট দিয়েছে পুলিশ। এর আগে দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে গোপন সংবাদ ও প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেফতার করে পাইকগাছা থানা পুলিশ। ডাকাতদের এই গ্যাংয়ের এক সদস্য এখনো পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এজাজ শফী।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলো, সাইদুল গাজী, আলামিন মোড়ল, মিজানুর গাজী, তাকবির হোসেন, শাহিনুর গাজী, জীবন সরদার, ইমরান গাজী, বাপ্পি গাজী, মেহেদি হাসান ও আশরাফুল মোল্লা। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন থানায় অসংখ্য মামলা রয়েছে।
গ্রেফতার অভিযানে সার্বিক নেতৃত্ব প্রদানকারী পাইকগাছা থানার ওসি এজাজ শফী জানান, গত বছর ১৪ ডিসেম্বর পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুরের কার্তিকের মোড়ে মধ্যরাতে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে পাইকগাছার উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কিংফিশার পরিবহনে ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতরা যাত্রীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নগদ টাকাসহ মোবাইল লুট করে নেয়। এ ঘটনায় ১৫ ডিসেম্বর থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা হয়, যার নং- ১১। চার্জশীটভূক্ত আসামীদের মধ্যে ১০ জনকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে। ডাকাতির পর ফেলে যাওয়া স্যান্ডেলের ফুটপ্রিন্ট, মোবাইল ট্র্যাকিং, সোর্সসহ বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ছক এঁকে নিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ডাকাতির পর তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই তাদের গ্রেফতার করাটা ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পলাতক তানভীর হোসেন শাওনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বাস ডাকাতি ছাড়াও এই চক্র নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে তিনি জানান। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়ার পর ১১ আসামির বিরুদ্ধে গত ৩০ জুন চার্জশীট দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।