গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
লকডাউনে মানুষ আর ঘর বন্দি থাকতে পারছে না। বেরিয়ে পড়ছেন। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়ার কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিন সোমবার রাজধানীতে বেড়েছে মানুষের চলাচল ও যানবাহন।
সাত দিনের সর্বাত্মক লকডাউনের পঞ্চম দিন চলছে। সোমবার সড়কে মানুষ ও যানবাহনের পাশাপাশি রিকশার উপস্থিতি বেড়েছে। সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও বেশ কিছু অফিস খোলা রয়েছে, আর মূলত সেইসব অফিসগামীদের কারণেই সড়কে মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।
রাজধানীর প্রগতি সরণি, রামপুরা, মালিবাগ, গুলশান, বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, আগের চারদিনের তুলনায় সড়কে মানুষ, রিকশা, যানবহন অনেক বেড়েছে। শুধু চলছে না গণপরিবহন। এছাড়া সব কিছুই চলছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কম।
গত তিন দিনের তুলনায় আজ মানুষ, যানবাহন, রিকশার সংখ্যা সড়কে অনেক বেশি। প্রথম তিনদিন ভালোভাবে লকডাউন পালিত হয়েছে, কিন্তু গতকাল থেকে এই সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। আজ থেকে যেহেতু ব্যাংক খুলেছে তাই মানুষের সংখ্যা আরও বেড়েছে।
রামপুরা ব্রিজে অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী আলমগীর হোসেন। তিনি জানান, বিগত চার দিনের তুলনায় আজ মানুষের, যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। লকডাউনে মানুষ আর কয়দিন ঘরে থাকবে। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের লকডাউন ভালোভাবে পালিত হচ্ছে। এটা বলতে হবে এবারের লকডাউনে অন্য যেকোনবারের চেয়ে তুলনামূলক অনেক কম মানুষ বাইরে বের হয়েছে। এই জনবহুল শহরে এটাও কিন্তু কম পাওয়া না। যেহেতু গণপরিবহন বন্ধ, আর সব অফিসের নিজস্ব পরিবহনও নেই, তাই মানুষের খুব ভোগান্তিও হচ্ছে। একমাত্র রিকশা ছাড়া অন্য কিছু নেই গণপরিবহন হিসেবে। তবে কর্মজীবী, শ্রমজীবী মানুষ কয়দিন ঘরে বন্দি থাকবে? খাবারের জন্য, জীবিকার জন্য তাদের তো বের হতে হবেই। দিন যত যাচ্ছে সড়কে মানুষ, যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।