Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

চতুর্থ দিনে গাড়ি বেড়েছে সড়কে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০২১, ১১:২০ এএম

চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের চতুর্থ দিনে রাজধানীর সড়কে আগের তিনদিনের চেয়ে গাড়ির চাপ বেড়েছে। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর হয়েছে আগের চেয়ে বেশি। কোনো কোনো চেকপোস্টে যানবাহনের দীর্ঘ সারিও দেখা গেছে। যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারা ব্যক্তিগত গাড়িগুলোকে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, চলমান লকডাউনে ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় চলার কোনো সুযোগ নেই। তবে প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা গাড়িগুলো রাস্তায় চলতে পারবে। সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সাত মসজিদ রোড, মিরপুর রোড ও গাবতলী চেকপোস্ট ঘুরে দেখা যায়, রাসেল স্কয়ার, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে, কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল মোড়, গাবতলী, মালিবাগ, রামপুরা ও শাহবাগ চেকপোস্টে গাড়ির ব্যাপক জটলা। এসব চেকপোস্টে প্রত্যেকটা গাড়ি থামানো হচ্ছে। অপ্রয়োজনে বের হওয়া গাড়িগুলোকে মামলাও দেওয়া হচ্ছে।
ডিএমপির মতিঝিল জোনের ডিসি আ. আহাদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সকাল থেকে গাড়ি বেশি। অনেকেই মতিঝিল, গুলশান বা উত্তরায় অফিসে যাওয়ার জন্য ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন। আমরা তাদের কথায় সন্তুষ্ট হলেই কেবল গাড়ি ছাড়ছি। না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। কেউ রাস্তায় বের হলে যুক্তিক কারণ না বলতে পারলে আইনগত কোন ছাড় দেয়া হচ্ছে না। আমরা পাড়া-মহল্লায় নজরদারির মধ্যে রেখে কাজ করছি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাস্তায় জটের বিষয়ে জানতে চাইলে ধানমন্ডি ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদ আহসান সাংবাদিকদের বলেন, আজ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। এছাড়া লকডাউনের চতুর্থ দিন। বিগত তিনদিনের তুলনায় আজ গাড়ির চাপ একটু বেশি। গাড়ির চাপ বেশি থাকলেও আমাদের সদস্যরা কঠোরভাবেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এছাড়া বেশকিছু গাড়ি আমরা ঘুরিয়ে দিয়েছি। কারণ রাস্তায় বের হওয়ার পক্ষে যথাযথ কারণ তাদের ছিল না।
গাবতলী চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করা দারুসসালাম ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার ইত্তেখায়রুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন কল-কারখানার যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন তাদের গাড়ি আমরা বেশি দেখছি। কলকারখানার নামে যেসব গাড়ি আছে আমরা তাদের অ্যালাউ করছি। বাকিদের অ্যালাউ করছি না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। রাস্তায় যেহেতু গাড়ি বেশি নেমেছে, আর কঠোর চেকিং হচ্ছে, তাই জট একটু হবেই।



 

Show all comments
  • masud Ahmed ৪ জুলাই, ২০২১, ৮:০০ পিএম says : 0
    আসলে বিশ্বে করোনা পরিস্থিতি যে হারে বাড়িতেছে তাতে আমাদের বাংলাদেশ আরো বেশি সচেতন হওয়া দরকার এই লকডাউনে সরকারের উচিত ছিল প্রত্যেকটা সরকারি-বেসরকারি অফিস এবং কল কারখানা বন্ধ রাখা তাহলে হয়তোবা এতটা ঝামেলা হতো না দেখুন একেই তো লকডাউন দ্বিতীয়তঃ কয়েকদিন ধরে আমাদের দেশে ভারী বর্ষণ হচ্ছে এই বৃষ্টির মাঝেও আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে নিঃসন্দেহে তাদেরকে ধন্যবাদ জানানো উচিত এবং সেইসাথে তাদেরকে সহযোগিতা করা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব এখন হয়তো অনেকেই বাধ্যতামূলক বাইরে বের হতে হয় কারণ তার অফিস খোলা অফিসে না গেলে হয়তোবা এই লকডাউন এর উসিলায় তার চাকরিটা চলে যেতে পারেন তাই আমি সরকারের প্রতি আবেদন করব যে পরবর্তীতে এরকম সিচুয়েশনে যেন প্রত্যেকটা অফিস কল কারখানা বন্ধ রাখা হয় তাহলে মানুষ কিছুটা হলেও ঘরমুখী হবে ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ