গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
চলমান সর্বাত্মক লকডাউনের চতুর্থ দিনে রাজধানীর সড়কে আগের তিনদিনের চেয়ে গাড়ির চাপ বেড়েছে। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তৎপর হয়েছে আগের চেয়ে বেশি। কোনো কোনো চেকপোস্টে যানবাহনের দীর্ঘ সারিও দেখা গেছে। যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারা ব্যক্তিগত গাড়িগুলোকে ঘুরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, চলমান লকডাউনে ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় চলার কোনো সুযোগ নেই। তবে প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা গাড়িগুলো রাস্তায় চলতে পারবে। সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সাত মসজিদ রোড, মিরপুর রোড ও গাবতলী চেকপোস্ট ঘুরে দেখা যায়, রাসেল স্কয়ার, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে, কল্যাণপুর, টেকনিক্যাল মোড়, গাবতলী, মালিবাগ, রামপুরা ও শাহবাগ চেকপোস্টে গাড়ির ব্যাপক জটলা। এসব চেকপোস্টে প্রত্যেকটা গাড়ি থামানো হচ্ছে। অপ্রয়োজনে বের হওয়া গাড়িগুলোকে মামলাও দেওয়া হচ্ছে।
ডিএমপির মতিঝিল জোনের ডিসি আ. আহাদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সকাল থেকে গাড়ি বেশি। অনেকেই মতিঝিল, গুলশান বা উত্তরায় অফিসে যাওয়ার জন্য ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন। আমরা তাদের কথায় সন্তুষ্ট হলেই কেবল গাড়ি ছাড়ছি। না হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। কেউ রাস্তায় বের হলে যুক্তিক কারণ না বলতে পারলে আইনগত কোন ছাড় দেয়া হচ্ছে না। আমরা পাড়া-মহল্লায় নজরদারির মধ্যে রেখে কাজ করছি বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাস্তায় জটের বিষয়ে জানতে চাইলে ধানমন্ডি ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদ আহসান সাংবাদিকদের বলেন, আজ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস। এছাড়া লকডাউনের চতুর্থ দিন। বিগত তিনদিনের তুলনায় আজ গাড়ির চাপ একটু বেশি। গাড়ির চাপ বেশি থাকলেও আমাদের সদস্যরা কঠোরভাবেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এছাড়া বেশকিছু গাড়ি আমরা ঘুরিয়ে দিয়েছি। কারণ রাস্তায় বের হওয়ার পক্ষে যথাযথ কারণ তাদের ছিল না।
গাবতলী চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করা দারুসসালাম ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার ইত্তেখায়রুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন কল-কারখানার যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন তাদের গাড়ি আমরা বেশি দেখছি। কলকারখানার নামে যেসব গাড়ি আছে আমরা তাদের অ্যালাউ করছি। বাকিদের অ্যালাউ করছি না। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। রাস্তায় যেহেতু গাড়ি বেশি নেমেছে, আর কঠোর চেকিং হচ্ছে, তাই জট একটু হবেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।