পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারত থেকে নিম্নমানের কয়লা আমদানী করে পরিবেশ ধ্বংস বন্ধের দাবি জানিয়েছেণ বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান। তিনি বলেছেন, অবিলম্বে ভারতীয় কয়লা আমদানী বন্ধ ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প বাতিল করতে হবে। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি জানান।
বাম নেতা খালেকুজ্জামান বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ভারতের ঝাড়খন্ডের ধানবাদ থেকে কলকাতা বন্দরে ৩ হাজার ৮০০ টন কয়লা খালাস করা হয়েছে। এগুলো জাহাজে করে মংলা বন্দরে পাঠানো হবে। পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালানোর জন্য এই কয়লা আমদানী করা হচ্ছে। পুরো দমে বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে প্রতি মাসে ২০ হাজার টন কয়লা লাগবে যা ভারত থেকে আনা হবে। ভারতের পত্রিকায় এ খবর প্রকাশিত হলেও বাংলাদেশ বা ভারত সরকার এর পক্ষ থেকে কয়লা আমদানীর চুক্তির বিষয়ে দেশবাসীকে কিছু জানানো হয়নি। গোপনে এ কাজ করা হচ্ছে।
বাসদ নেতা বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে প্রাকৃতিক বর্ম ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন ধ্বংস হবে। ভারতীয় নিন্মমানের কয়লা ব্যবহার করলে খরচ ৪০ গুন বেশি হবে অন্যদিকে ফ্লাই অ্যাশ এর দূষণ বাড়বে ৫ গুন। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দক্ষিণ ভারতে আদানী গ্রুপের একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ভারতের কয়লা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দেয়। তখন আদানী গ্রুপ বিদেশী কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপদানের জন্য ট্যারিফ বাড়াতে অনুরোধ করলে আদালত তাও বাতিল করে দেয়। তখন আদানী ঐ কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি ঝাড়খন্ডে সরিয়ে এনে ঝাখন্ডের গুড্ডায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে এবং সেখানকার বিদ্যুৎ বেশি দামে বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়। কিন্তু ভারতীয় আইনে আছে যে রাজ্যে প্ল্যান্ট স্থাপিত হবে ঐ রাজ্যকে উৎপাদিত বিদ্যুতের ২০% দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে আদানী ঐ রাজ্যকে তাদের অন্য রাজ্যের প্ল্যান্টে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিতে চেয়েছে এ সংকট এখনও মিমাংসা হয়নি। বাংলাদেশ কার স্বার্থে, কেন বেশি দামে ঐ বিদ্যুৎ কিনতে রাজী হয়েছে সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা দরকার।
খালেকুজ্জামান বলেন, গত কয়েক মাসে মংলা বন্দরে চলাচলের সময় ১১টি ফ্লাই অ্যাসের জাহাজ ডুবির ঘটনা ঘটেছে। সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে কয়লার জাহাজ আসা যাওয়া করলে বনের ইকোসিস্টেম যেমন নষ্ট হবে তেমনি নদীর পানি দূষিত হয়ে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।