বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন শনিবার অলিগলি ও কাঁচাবাজারগুলোতে মানুষের সমাগম বেড়েছে। তবে প্রধান সড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ টহল অব্যাহত থাকায় প্রায় ফাঁকাই রয়েছে। মানুষের মধ্যে মাস্কবিহীন চলাচল এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার প্রবণতা দেখা গেছে। রাজধানীর আগাঁরগাও শেরেবাংলা নগর ঘুরে এমনই চিত্র চোখে পড়েছে।
সরেজমিন ঘুরে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতাররের সামনের রাস্তায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবও আনসারের যৌথ দলকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। এ সময় বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর ক্যাপ্টেন সাজেদুর রহমান বলেন, ‘আমরা যৌথ বাহিনীর দশজনের একটি টহল দল এই এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছি। সাধারণ প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আমাদের এ অভিযানে সাধারণ মানুষের সহায়তা পাচ্ছি।’
তালতলা, মোল্লাপাড়া ও বৌ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কাচাঁবাজার করতে আসা মানুষের ভিড়। বৌ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, কেউ কেউ মাস্ক পরলেও অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। নেই সামাজিক দূরত্বের বালাই। গলির চায়ের দোকানগুলোতে বসে বসে চা নাস্তা খাচ্ছে। প্রধান সড়কে ফাঁকা থাকলেও গলিগুলো দেখে বোঝার উপায় নেই দেশে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে।
পশ্চিম আগারগাঁও বিএনপি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাদের ব্যাপক আনাগোনা। এখানেও স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই।
এ সময় কথা হয় কামরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, কাঁচাবাজার না করলে খাব কী? আজকে দুই-তিনদিনের কাজার একসঙ্গে করতে এসেছি।
এদিকে, যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ায় দেকা গেছে মানুষের ব্যাপক সমাগম। শনিরআখড়া বাজার, গোবিন্দপুর বাজার, জিয়া সরণীতে শত শত মানুষকে জটলা করে বাজারে ঘুরতে দেখা গেছে। দনিয়ার বর্ণমালা স্কুল রোডে যুবকদের আড্ডা চোখে পড়ার মতো। একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, পুলিশ এদিকে কমই আসে। পুলিশ নিয়মিত আসা যাওয়া করলে আড্ডা জমতো না। দনিয়া এ কে স্কুল রোডেও মানুষের জটলা ও উঠতি বয়সীদের আড্ডা দেখা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।