বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের জারি করা সাত দিনের কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিন চলছে আজ। লকডাউন কার্যকরে মাঠে রয়েছেন পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি র্যাব ও আনসার সদস্যরা।
শনিবার (০৩ জুলাই) সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে টহল দিতে দেখা গেছে তাদের। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্টে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। গত দু'দিনের মতো আজও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের গ্রেপ্তার ও জরিমানা করছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তবে জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতরা পরিচয়পত্র দেখানো ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তল্লাশির সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে তারা তাদের গন্তব্যে বা কর্মস্থলে যেতে পারছেন।
কঠোর লকডাউনের আগের দুই দিনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অযৌক্তিক কারণে বাইরে বের হওয়ায় রাজধানীতে প্রথম দিন ৫৫০ এবং দ্বিতীয় দিন ৩২০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে র্যাবের অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দেশব্যাপী বৃহস্পতিবার ১৮২ জনকে জরিমানায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং শুক্রবারের অভিযানে ২১৩ জনের জরিমানায় ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৪০ টাকা আদায় করা হয়।
সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, কমলাপুর, পল্টন, মগবাজার, বাংলামোটর, সোনারগাঁও মোড়, কাওরানবাজার, ফার্মগেইট, শেরে বাংলানগর, আগারগাঁও, আসাদ গেইট, ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোড, ফুলবাড়ীয়া, গুলিস্তান, ওয়ারী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউন বাস্তবায়ন করতে বেশ তৎপর আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেউ উপযুক্ত কারণ দর্শাতে না পারলে তাকে বসিয়ে রাখা হচ্ছে।
আলাপকালে কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আজ গত দুদিনের তুলনায় সড়কে গাড়ি ও মানুষের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি। তবে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা খুবই কম।
এদিকে, প্রধান সড়কে লোকজন না থাকলে বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লায় মানুষজনের ভিড় দেখা গেছে। দোকানপাট খোলা থাকায় মানুষ কেনাকাটার জন্য ভিড় জমাচ্ছে। পুলিশের গাড়ি দেখলে মানুষজন দ্যেড়ে গলি বা বাসার মধ্যে ঢুকে পড়ছে।
সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের নির্দেশনা জারি করে সরকার। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হলে মাস্ক পরে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরার কথাও বলা হয় নির্দেশনায়। বন্ধ রয়েছে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সব অফিস। ৭ জুলাই পর্যন্ত চলবে কঠোর লকডাউন।
এর আগে গত ৩০ জুন দেশজুড়ে সাত দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে ২১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নতুন এই নির্দেশনা অনুযায়ী সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। সড়ক, রেল ও নৌপথে গণপরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) সব যন্ত্র চালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজের জন্য শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে। গণমাধ্যম এই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।