নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কিলিয়ান এমবাপের শট ইয়ান সোমার রুখে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বুখারেস্টে রচিত হয় ইতিহাস; ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের শেষ ষোলো থেকে বাদ পড়ে যায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ফরাসিদের সঙ্গে পুরো বিশ্বকে হতবাক করে শুরু হয় সুইজারল্যান্ডের উৎসব। সেই নবজাগরিত সুইসদের মুখোমুখি এবার বিশ্বফুটবলের আরেক শক্তিশালী দল স্পেন।
সেন্ট পিটার্সবার্গের ক্রেস্টোভস্কি স্টেডিয়ামে আজ (শুক্রবার) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় মুখোমুখি হবে সুইজারল্যান্ড-স্পেন। শেষ ষোলোতে একই রাতে ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ফুটবল উপহার দেওয়া এই দুই দল এবার লড়বে একে অপরের বিপক্ষে।
১৯৩৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপের পর সুইজারল্যান্ড এই প্রথম কোনো বড় মঞ্চের নক আউট পর্বের বাধা পেরোলো। অন্যদিকে স্পেন বড় দলগুলোর একটি। ২০১০ বিশ্বকাপের সঙ্গে ২০০৮ ও ২০১২ সালের ইউরোর ট্রফি ঘরে তোলে তারা। সেন্ট পিটার্সবাগে কী আবারও ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচিত করবেন সুইসরা নাকি হবে স্প্যানিশ জয়গান।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ৩-৩ গোলে ড্রয়ের পর অতিরিক্ত সময়ে আলভেরো মোরাতার গোলে এগিয়ে যেয়ে শেষ পর্যন্ত ৫-৩ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্পেন। এর একটু পরেই পগবা-এমবাপেদের কাঁদিয়ে ট্রাইবেকে জিতে শেষ হাসি হাসে সুইজারল্যান্ড। অথচ দল দুটির গ্রুপপর্বের পথ চলা মসৃণ ছিল না।
ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে দুই দলের এটি প্রথম মুখোমুখি। এর ১৯৬৬, ১৯৯৪ ও ২০১০ সালের বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয় তারা। প্রথম দুটি বিশ্বকাপে স্পেন জয় পেলেও ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ১-০ গোলে হারে। সুইসদের জন্য বড় মঞ্চের এই জয় কাজ করতে পারে টনিক হিসেবে। তবে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে জয়ের পাল্লা ভারি স্পেনের। ২২ বারের দেখায় ১৬ বারই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে স্প্যানিশরা; অন্যদিকে ১টি মাত্র জয় সুইসদের। বাকি ম্যাচগুলো ড্র-তে নিস্পত্তি হয়।
সুইজারল্যান্ড কোচ ভ্লাদিমির পেটকোভিচের কণ্ঠে ঝরছে আত্মবিশ্বাস। তিনি বলেন, 'পরবর্তী ধাপ সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। যদিও আমরা টুর্নামেন্টের ফেভারিট দলের মুখোমুখি তবুও পরবর্তী রাউন্ডে যেতে চাই। মাঠে আমাদের জয়ের খুদা দেখাতে চাই; আমি আত্মবিশ্বাসী ছেলেরা পারবে।'
তবে কঠিন লড়াই হবে বলে মনে করছেন স্পেন কোচ লুইস এনরিকে। তিনি বলেন, 'এটা একটি কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে। দল হিসেবে তারা (সুইজারল্যান্ড) আক্রমণ ও রক্ষণে সমানতালে লড়তে পারে। তারা অনেক ভালো দল এবং ম্যাচটি জন্য অনেক কঠিন হবে।'
সুইজারল্যান্ড সম্ভাব্য একাদশ: সোমার, এলভেদি, আকানজি, রোদ্রিগেজ; ওয়াইড্মার, ফ্রিলার, জাকারিয়া, জুবের; শাকিরি; এম্বোলো ও সেফেরোভিয়া।
স্পেন সম্ভাব্য একাদশ: উনাই সিমন, অ্যাজপিলিকুয়েটা, এরিক গার্সিয়া, ল্যাপার্ট, আলবা; কোকে, বুস্কেয়টস, পেদ্রি, সারাবিয়া, মোরাতা ও ফেরান টরেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।