পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার সামাজিক সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর লকডাউন চলছে। তারপরও মৃত্যু ও আক্রান্ত যেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। গতকালও দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড সংখ্যাক ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটা দেশে সবচেয়ে একদিনের সবচেয়ে বেশি মৃত্যু। এর আগে গত ২৭ জুন সর্বোচ্চ ১১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। তার ৪ দিনের মাথায় সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড ভাঙ্গে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেব মতে গতকাল বৃহস্পতিবার টানা পঞ্চম দিনের মতো করোনায় মৃত্যু একশ’র ওপরে। এর আগে ৩০ জুন ১১৫ জন, ২৯ জুন ১১২ জন, আর ২৮ জুন মারা যায় ১০৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪৩ জনকে নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে করোনায় মারা গেছেন ১৪ হাজার ৬৪৬ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৩০১ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ৯ লাখ ২১ হাজার ৫৫৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৬৬৩ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ২০ হাজার ৯১৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় রোগী শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৯০ শতাংশ। তবে এখন পর্যন্ত দেশে গড় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৮ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ হাজার ৯২৪টি নমু সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩২ হাজার ৫৫টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬৬ লাখ ৪০ হাজার ৯৮২টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৮ লাখ ৪৮ হাজার ১৬৫টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখ ৯২ হাজার ৮১৭টি।
এতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ১৪৩ জনের মধ্যে পুরুষ ৯০ জন আর নারী ৫৩ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৪১৫ জন আর নারী ৪ হাজার ২৩১ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ৭০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৪২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১৮ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১১ জন, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী একজন আর শ‚ন্য থেকে ১০ বছর বয়সী একজন। মারা যাওয়া ১৪৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৩৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৯ জন, খুলনা বিভাগের ৪৬ জন, বরিশাল বিভাগের ৮ জন, সিলেট বিভাগের ৭ জন, রংপুর বিভাগের ১০ জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের রয়েছেন ৩ জন। সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১০৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৩ জন আর বাড়িতে ১১ জন।
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন এই লকডাউনে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।