গত দুই দিনের বৃষ্টি আর উজানের ঢলে আকস্মিকভাবে ধরলা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এর ফলে কুড়িগ্রামর ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের ৪টি গ্রাম ধরলা নদীর ভাঙনের কবলে পড়েছে। নতুন করে ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে ওই গ্রামের মানুষ। দুশ্চিন্তায় পড়ছেন তাদের ঘরবাড়ি নিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে ভাঙন রোধে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গতকাল বুধবার ধরলা নদীর তীরে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন তারা।
চর মেখলির ওসমান আলী জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ধরলার ভাঙনের ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে গেছে। এবারো ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা, বুদার চর, চর মেখলি ও বড় বাসুরিয়া গ্রামে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোপূর্বে ভাঙনে ২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চ বিদ্যালয়, মসজিদ ও ঈদগাঁহ ময়দানসহ বিভিন্ন স্থাপনা, আবাদি জমি, গাছপালা এবং শতাধিক পরিবারের বাড়ি ভাঙনে বিলীন হয়েছে।
এদিকে ওই এলাকার নারী পুরুষ একত্রে ভাঙন রোধে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বুধবার ধরলা নদীর তীরে মেখলি গ্রামে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন ও সমাবেশ করা হয়েছে। এ সময় সমাবেশে বড়বাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক মিঠু, স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম, বদিয়ার রহমান, আব্দুল মতিন, শওকত আলী, সাহেব উদ্দিন ও মমিন মিয়া বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। কিন্তু ভাঙনরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন-নিবেদন করে কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। এমনকি কেউ দেখতে পর্যন্ত আসেননি। তাই অবিলম্বে ভাঙন রোধের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন ।
বড় ভিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খয়বর আলী জানান, আমরা ভাঙন রোধে অনেক বার বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেছি। নিঃস্ব হওয়া পরিবার গুলোর তালিকা করা হচ্ছে। তাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, ওই এলাকার ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে কাজ করা হবে।