গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ঢাকাসহ সারা দেশে আরোপ করা হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। বিধিনিষেধে জরুরি পরিষেবার যানবাহন আর রিকশা ছাড়া কোন পরিবহন চলাচল করছে না রাজধানীর সড়কে। এছাড়া ঢাকার বাহিরে থাকা কোন পরিবহণ ঢাকায় ঢোকার ক্ষেত্রে যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে তাদের আবার ফিয়েয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) কঠোর বিধিনিষেদের প্রথম দিন সকালে গাবতলী ব্রিজের চেকপোস্টে কড়া নজরদারি করতে দেখা গেছে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের। জরুরি সেবার আওতায় নেই এমন গাড়ি থামিয়ে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তারা। ঢাকার বাহিরে থেকে আসা বাইক, পিকআপ, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাসগুলোকে বিশেষ করে জিজ্ঞাসাবাস করা হচ্ছে। সেই সাথে জানতে চাওয়া হচ্ছে যৌক্তিক কারণ। কারণ যুক্তিসংগত না হলেই আগের রাস্তায় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মাস্ক না পরিধান করার কারণেও অনেককে ফেরত পাঠাতে দেখা গেছে।
কালিয়াকৈর থেকে আহমদ নামে এক যুবক এসেছিলেন ঢাকার উদ্দেশে। পেশায় ই-কমার্স পণ্য ডেলিভারি ম্যান। তার বাহনটি কোম্পানির না হওয়ায় তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে কালিয়াকৈরেই। আহমদ বলেন, জরুরি পরিসেবার আওতায় থেকেও আমি কাজে যেতে পারলাম না। এটা এক ধরণের ভোগান্তি।
সিরাজগঞ্জ কড্ডার মোড় থেকে মাইক্রো করে ঢাকায় ঢুকছিলেন তিন থেকে চার জন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তারা হাসপাতালে রোগী আছে জানালেও কোন প্রমাণ দেখাতে না পাড়ায় তাদেরও ফেরত পাঠানো হয়। কাগজ কোথায় জানতে চাইলে, মাইক্রো আরোহীরা বলেন রোগী ঢাকায়। আমরা খবর পেয়ে এসেছি কাগজ তো আমাদের কাছে থাকার কথা না।
হাসপাতালের নাম জিজ্ঞেস করায় সেটাও তাৎক্ষণিক বলতে না পারায় সন্দেহ হলে তাদের আবার সিরাজগঞ্জ ফেরত পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে দারুস সালাম থানা ও গাবতলী জোনের সিনিয়র কমিশনার মিজান বলেন, ঢাকার বাইরে থেকে আসা জরুরি সেবার আওতায় নেই এমন যানবাহনগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে জিজ্ঞাসবাদ করা হয়। তারা কোন যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে তাদের ঢাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া ব্যাক্তিগত পরিবহনে করে যারা বের হয়েছেন তাদের কাগজপত্র না থাকলে মামলা ও জরিমানা করা হচ্ছে। যারা মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করছেন তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছি অথবা ২৬৯ ধারায় তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
গাবতলী আমিন বাজার ব্রিজের চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক সার্জেন্ট দেলোয়ার হোসাইন বলেন, সকাল থেকে বেলা প্রায় ১২ টা পর্যন্ত আমরা ৩০ থেকে ৪০টি যানবাহন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই নানা মিথ্যে অজুহাতে ঢাকায় ঢুকতে চেয়েছেন। তাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে মোটরবাইক, মাইক্রো আর প্রাইভেটকারের সংখ্যাই বেশি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শিমরাইল ও সাইনবোর্ডে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। কোন গাড়ি এলেই চেকপোস্টে থামিয়ে যাত্রীদের কারণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ জানাতে ব্যর্থ হলে সেই যাত্রীকে গাড়িসহ আর ঢাকায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এদিকে সকাল থেকেই ঢাকার রাস্তায় বিজিবি ও সেনা টহল দিতে দেখা গেছে। শহরের ভেতরে মূল সড়কের প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে রয়েছে পুলিশি চেকপোস্ট। সাধারণ যাত্রীরা জরুরি দরকারে চলাচল করছেন রিকশায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।