গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী চলছে ‘কঠোর বিধিনিষেধ’। এটি বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা। তাদের সঙ্গে রয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতও। যারা ঘরের বাইরে বের হচ্ছে তাদেরকেই বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে।
জরুরি প্রয়োজনের কথা যারা বলছেন তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় প্রমাণ চাওয়া হচ্ছে। তবে যারা বিধিনিষেধ অমান্য করে ঘর থেকে বের হচ্ছেন তাদেরকে আটক করা হচ্ছে। এছাড়াও অনেককে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কারাদন্ড বা অর্থদন্ড প্রদান করা হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই রাজধানী ঢাকার শাহবাগ ও মিরপুরে ১৭ জনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা ও ৩ জনেকে আটক করার তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, রাজধানীর ঢাকার শাহবাগ মোড়ে র্যাব-৩ ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রত্যেক যাত্রী ও পথচারীদের থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদি পর্যাপ্ত কারণ না দেখাতে পারে তাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মাস্কবিহীন রিকশাচালক বা পথচারীদের মাস্ক বিতরণ করছেন। অহেতুক ঘোরাফেরা এবং মাস্ক ছাড়া বেড়োনোর কারণে পথচারী এই পর্যন্ত ২ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। তারা হলেন- রুবেল মিয়া ও সোহেল রানা। তাদের ২০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে।
রাজধানী মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকায় চলমান বিধিনিষেধ ভঙ্গ করে বিনা কারণে বাইরে বের হওয়ায় ১৫ জনকে ৩০০ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এসময় জরিমানার টাকা দিতে না পারায় ৩ জনকে আটক রাখা হয়, পরবর্তীতে তাদের কি করা হবে- সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
এ বিষয়ে র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, প্রত্যেকের উচিৎ বিধিনিষেধ মেনে চলা। সরকার যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে আমরা যদি সেগুলো মেনে চলি আমরা আশা করি করোনা সংক্রমণ কমে আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।