গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীতে অফিসগামী মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। তবে, সোমবার থেকে সীমিত লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। অফিস স্টাফদের জন্য প্রতিষ্ঠান থেকে যাতায়াতের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সে নির্দেশনায় হচ্ছে না সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে। গণপরিবহন বন্ধের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার (২৯ জুন) সকালে রাজধানীতে হেঁটেই অফিসে যেতে দেখা যায় বহু মানুষকে।
সকাল থেকে নগরীর সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, খিলগাঁও রেলগেট, শাহজাহানপুর, রাজারবাগ, ফকিরাপুল, রামপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় গণপরিবহন না পেয়ে মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। নগরীতে চলাচলকারী গণপরিবহন রিকশার ভাড়া কয়েকগুণ বেশি। এ সময় দুই একটি স্টাফ বাসে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেলেও তা ছিল খুবই কম। বেশিরভাগ মানুষ অভিযোগ করছেন প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের জন্য নিজস্ব কোনো পরিবহন ব্যবস্থা করেনি।
রামপুরা ব্রিজে বিপুল সংখ্যক লোক কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিলো। ভাড়াও গুনতে হচ্ছে কয়েকগুণ। বাধ্য হয়ে হেঁটে অফিসে রওনা দিতে হয়েছে তাদের। অনেক জায়গায় রিকশা যাচ্ছে না। আবার গেলে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে।
রিকশার অভাব নেই। কিন্তু যাত্রীতে সব ভর্তি। এক-দুইটা খালি পাওয়া গেলেও ভাড়া চাচ্ছে দুই গুণ।
ফার্মগেটের চিত্রও একই দেখা গেছে। অফিসে যাওয়ার জন্য বিপুলসংখ্যক মানুষকে ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশার জন্যে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। কর্মজীবী এসব মানুষের অভিযোগ প্রতিষ্ঠান তাদের জন্য যাতায়াতের বিশেষ ব্যবস্থা করেনি। ফলে বাধ্য হয়েই দুর্ভোগ ও ঝুঁকি নিয়ে অফিসে যেতে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।