মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একটা প্রজাতিকে বাঁচাতে গিয়ে তবে কি অন্য প্রজাতিকে বিপদের মুখে ঠেলে দিলেন প্রাণীবিদরা? পূর্ব তাসমানিয়ার মারিয়া আইল্যান্ডের বাস্তবচিত্র এ প্রশ্নই তুলে দিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার বিলুপ্তপ্রায় তাসমানিয়ান ডেভিলকে বাঁচাতে ২৮টি ডেভিল ২০১২ সালে ছেড়ে আসা হয়েছিল মারিয়া দ্বীপে। ২০১৬-এর মধ্যেই তাদের সংখ্যা বেড়ে হয় ১০০। আর সেই শিকারি ডেভিল-বাহিনীর দাপটে ১১৬ বর্গকিলোমিটারের দ্বীপ থেকে পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে ৩ হাজার জোড়া ‘ব্রিডিং’ পেঙ্গুইন!
ফেসিয়াল টিউমারের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতেই তাসমানিয়ান ডেভিলের ঠাঁই হয়েছিল জনশূন্য এই দ্বীপে। এখানে গাড়ি চলার রাস্তা নেই, জনবসতি নেই- ফলে সংক্রমণ কোনও ভাবেই এখান অবধি পৌঁছবে না, এমনটাই ভেবেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সংক্রমণ না ছড়ালেও দ্বীপের যা অবস্থা, তাতে জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যেতে বসেছে! ‘বার্ডলাইফ তাসমানিয়া’র কনভেনার এরিক ওয়েহেলারের মতে, ‘পক্ষীক‚লের জন্য এটা বড় ধাক্কা। তবে, এটা হওয়ারই ছিল। যতবারই মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে বা না বুঝে সমুদ্র তীরবর্তী দ্বীপে এমন স্তন্যপায়ীদের এনেছে, ততবারই এমন হয়েছে। দ্বীপের পক্ষীক‚লের উপর বিপর্যয় নেমে এসেছে।’
গত বছরের গবেষণায় দেখা গিয়েছিল, শুধু পেঙ্গুইন নয়, দ্বীপের কাছে বাসা বানিয়ে থাকা সামুদ্রিক পাখিরাও তাসমানিয়ান ডেভিলের অত্যাচারে বিপন্ন। ওয়েহেলারের যুক্তি, বিড়াল বা ওই গোত্রীয় প্রাণীদের থেকে ডেভিল আকারে বড়, সেই সঙ্গে মাটি খোঁড়ার তৎপরতাও ওদের রয়েছে। সেই কারণেই ওরা মারিয়া আইল্যান্ডের পাখিদের জন্য ক্রমে বিপদের কারণ হয়ে উঠছে। মারিয়া দ্বীপের কেপ ব্যারেন হাঁসেরা সাধারণ মাটিতে বাসা বানায়, কিন্তু ওই দ্বীপে ডেভিল আসার পর থেকে টিকে থাকার তাড়নায় হাঁসেরও স্বভাব বদলাতে শুরু করেছে। ডেভিলদের আক্রমণ এড়াতে গাছে বাসা বানাচ্ছে তারা! সূত্র : সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।