পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
আজ ২৩ জুন পলাশী দিবস। পলাশী যুদ্ধ এবং দিবস সম্বন্ধে আমরা সবাই কম-বেশি জানি। প্রহসন-প্রতারণা আর বিশ্বাসভঙ্গের সেই যুদ্ধে বাংলার এবং সিরাজউদ্দৌলার পতনের ইতিহাস কারো অজানা নয়। অথচ পলাশীর যুদ্ধের ১৩৯ বছর পর্যন্ত ইতিহাসে উদ্দেশ্যমূলক সত্য গোপন করে শঠতার পলাশীর যুদ্ধের অনুকরণে প্রহসন-প্রতারণা, মিথ্যাচারের ইতিহাস রচিত ও প্রকাশিত হয়েছিল। সমস্তই নির্ভেজাল মিথ্যাচারের ইতিহাস। সিরাজউদ্দৌলার প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ প্রচারণা এবং ইংরেজ বেনিয়াদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের ভ্রান্ত ইতিহাস। ইতিহাসের প্রকৃত সত্য কখনো স্থায়ীরূপে চাপা দেয়া যায় না। কালক্রমে প্রকৃত সত্য উন্মোচন হবেই। বিজয়ীরা নিজেদের মহান ও মহৎরূপে প্রচারণায় ইতিহাস রচনায় তৎপর হয়। বিজীতদের বিরুদ্ধে অপবাদ-বিরূপ বিষোদগারে নিজেদের গুণকীর্ত্তনের ইতিহাস রচনায় নানা উপায়ে মদদ যুগিয়ে থাকে। বিজয়ী এবং বিজীতদের ইতিহাস তাই ভিন্ন, পরস্পর বিরোধী এবং চরম বৈপরীত্য।
বাংলার ইতিহাসে পলাশীর যুদ্ধ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বঙ্গদেশ দখলের পরই বেনিয়া ইংরেজ ভারতবর্ষ দখলের অভিপ্রায়ে উচ্চবিলাসী হয়ে উঠে এবং লক্ষ্য অর্জনে নানা প্রতিরোধ-প্রতিকূলতা পেরিয়ে ভারত বর্ষকে করতলগত করে। প্রবল প্রতিরোধ স্বদেশী বীরদের বীরত্বপূর্ণ অবদান-অত্মত্যাগের পাশাপাশি বিশ্বাসঘাতকদের দেশদ্রোহী নানা অপর্কীতিতে সহজ ও দ্রুত সম্ভব হয়েছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভারত দখল অভিযান। ১৭৫৭ সালর ২৩ জুন পলাশীর যুদ্ধে পতন ঘটে বাংলার এবং নবাব সিরাজউদ্দৌলার। ১৭৫৬ সালে উত্তরাধিকারীদের সঙ্গে বিবাদ-লড়াইয়ের আলিবর্দী খানের দৌহিত্র তরুণ সিরাজউদ্দৌলা সিংহাসন অধিকার করেছিলেন। নবাবের খালা ঘসেটি বেগম, যোধপুরের ধনাঢ্য মাড়োয়ারী-মুর্শিদকুল খাঁ যাকে ‘জগৎশেঠ’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। সেই জগৎশেঠ এবং তার ভ্রাতা মহবত রাই ও স্বরূপ চাঁদ, রাজা জানকীরাম, রায়দুর্লভ, রাজা রাম নারায়ণ, রাজা মানিক চাঁদ, নবাবের প্রধান সেনাপতি মীর জাফর, উমি চাঁদ, রাজা রাজবল্লভ প্রমুখ ষড়যন্ত্রকারীদের নানা প্রলোভনে বশ করে পলাশীর প্রহসন যুদ্ধে নবাবকে পরাজিত করে ইংরেজ বাহিনী।
মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় মাত্র তিন হাজার সৈন্যের ক্লাইভের বাহিনীর কাছে বিনা যুদ্ধে নবাবের ১৮ হাজার অশ্বারোহী ও ৫০ হাজার পদাতিক বিশাল বাহিনীর পরাজয় ঘটে। পলাশীর যুদ্ধে মীর মদন এবং মোহনলালের বীরত্বপূর্ণ অবদান স্বরণীয়। মীর জাফরকে বাংলার মসনদে নবাবের আসনে অধিষ্ঠিত করার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে ষড়যন্ত্রকারীদের তালুবন্দী করে প্রহসনের পলাশী যুদ্ধে ইংরেজ বেনিয়ারা জয়লাভ করেছিল। ইংরেজদের হাতের পুতুল নবাব মীর জাফরের নবাবী বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। অচিরেই তাকে পদচ্যুত করে তারই জামাতা মীর কাসিমকে নবাবের আসনে অধিষ্ঠিত করা হয়। এজন্যে মীর কাসিম বাংলার গভর্নর ও কাউন্সিলকে দুই লক্ষ পাউন্ড এবং বর্ধমান, মেদিনীপুর এবং চট্টগ্রাম জেলা কোম্পানিকে হস্তান্তরে বাধ্য হন। স্বাধীনচেতা মীর কাসিম মূলত নবাবী ক্রয় করেছিলেন। ইংরেজদের ক্রীড়নকের বিপরীতে বঙ্গের প্রকৃত শাসক হতে চেয়েছেন। যেটা ইংরেজ বিরোধিতার সামিল। ইংরেজ বিরোধীদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ইংরেজবিরোধী সমর অভিযানে অংশগ্রহণ করেন। পরিণতিতে তাকে হারাতে হয় নবাবী এবং বক্সার যুদ্ধে পরাজয়ের পর দিল্লিতে পলায়ন করেন। বক্সার যুদ্ধের পর ব্রিটিশ আধিপত্য প্রতিরোধে নিম্ন গাঙ্গেয় উপত্যকায় আর কেউ ইংরেজবিরোধী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে নি। এর পরের ইতিহাস ইংরেজদের শোষণ-লুন্ঠন, অর্থ সম্পদ, পণ্য ব্রিটেনে পাচারের ইতিহাস। যার মেয়াদকাল পৌনে দুই শত বছরের ।
পলাশী যুদ্ধে জয়ী ইংরেজ বেনিয়ারা তাঁবেদার লেখকদের দিয়ে ইতিহাস রচনায় অধিক আগ্রহী হয়ে উঠে। নিজেদের গুণকীর্ত্তন এবং সিরাজউদ্দৌলার প্রতি চরম বিদ্বেষপূর্ণ নানা অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। সে সকল ইতিহাসে নিষ্ঠুর, অপদার্থ, অর্বাচীন ইত্যকার নেতিবাচক অভিধায় সিরাজউদ্দৌলাকে অভিহিত করা হয়েছিল। প্রাসাদ ষড়যন্ত্র ঠেকাতে ইংরেজ বেনিয়ারা বাধ্য হয়ে যুদ্ধে অংশ নিয়ে রক্ষা করেছিল বঙ্গভূমিকে। ইংরেজ তাঁবেদার-আজ্ঞাবহ লেখকদের রচনায় এমন কথাই প্রকাশ পেয়েছিল। ইংরেজ বন্দনায় লেখক তালিকা দীর্ঘ, উল্লেখযোগ্য ইউসুফ আলী রচিত ‘তারিখ-ই-বাঙ্গলা-ই-মহব্বত জঙ্গী’। আমির গোলাম হোসেন খাঁ তাবাতাবাই রচিত ‘সিয়ার-উল-মতাখেরিন’ (শেষ শাসকবর্গের জীবনী)। ইংরেজ জর্জ উডনির নির্দেশে মুনশি গোলাম হোসেন সেলিম জইদপুরী রচিত ‘রিয়াজ-উম-সালাতিন’। এ ধরনের ভারতীয় প্রচুর লেখক ফার্সি ভাষায় ইংরেজদের দেয়া নজরানার বিনিময়ে মিথ্যা, বিকৃত ইতিহাস রচনায় অংশ নিয়েছিলেন। তাদের প্রত্যেকের রচনায় নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রতি তীব্র ঘৃণা, বিদ্বেষ, বিষোদগার পলাশীর যুদ্ধের সকল দায় নবাবের উপর চাপিয়ে ইংরেজ বেনিয়াদের দায়মুক্তি দেয়া হয়েছিল। পলাশীর যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিকৃত ইতিহাস রচনায় ইংরেজ এবং তাদের এদেশীয় অনুসারীরা যে বার্তাটি দৃষ্টান্তরূপে স্থাপন করতে চেয়েছেন, তার মূল কাঠামোটি ছিল বণিকবেশী ইংরেজদের আগ্রাসন এবং মুর্শিদাবাদের প্রাসাদ চক্রান্তকে অবিচ্ছেদ্য করা। প্রাসাদ চক্রান্তের ঘটনা না ঘটলে ইংরেজদের পক্ষে সমর ও রাজশক্তিরূপে আবির্ভূত হবার প্রয়োজন হতো না। এই নির্জলা মিথ্যাচার বিশ্বাস করার বিন্দুমাত্র যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই।
বিশ্বজুড়ে ইংরেজদের উপনিবেশ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাই প্রমাণ করে ভারতবর্ষে বাণিজ্যের উছিলায় দেশ দখলই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। কার্ল মার্কস ১৮৫৩ সালে বলেছেন, ‘ইউরোপের দুই জোটের উপনিবেশ ও বাণিজ্যিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও যুদ্ধে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পরিণত হয়েছে সমর ও রাজশক্তিরূপে।’ বণিকবেশে ফরাসি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সর্ব প্রথম ভারতবর্ষে উপনিবেশিক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিল। ১৭৪০ খ্রিস্টাব্দে মাদ্রাজে ফরাসি সামরিক অফিসারদের অধীনে ভারতীয়দের যুক্ত করে গড়ে তুলেছিল সৈন্যবাহিনী। কিন্তু ফরাসিরা ইংরেজদের কাছে অনেকগুলো যুদ্ধে পরাজয় বরণে এবং অর্থনৈতিক কারণে রণেভঙ্গ দিয়ে ভারতবর্ষ দখলের আশা ত্যাগ করে। শক্ত প্রতিপক্ষহীন সুযোগের মওকায় নানা যুদ্ধ-বিগ্রহে, শঠতায়-প্রতারণায় বিট্রিশরা ভারতবর্ষে উপনিবেশ গড়ে তুলেছিল। একে এক গোটা ভারতবর্ষ ইংরেজদের অধীনে চলে যায়।
মৃত্যুশয্যায় নবাব আলিবর্দী খাঁ সিরাজউদ্দৌলার ইংরেজ বেনিয়াদের অশুভ তৎপরতা শক্ত হাতে দমন এবং মাতৃভূমি রক্ষার তাগিদ দিয়েছিলেন। নবাব আলিবর্দী খাঁর নির্দেশ মোতাবেক নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইংরেজদের নিয়ন্ত্রণ ও দমন করতে চেয়েছেন। পারেন নি দরবারের গোপন ষড়যন্ত্র ও বিশ্বাসঘাতক চক্রের কারণে।
শঠতার-প্রহসনের পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় ও হত্যার দায়মুক্তির জন্য অসংখ্য মিথ্যা-বিকৃত ইতিহাস রচনায় দেশবাসীকে ইংরেজরা বিভ্রান্ত করতে সক্ষম হয়েছিল। পলাশীর যুদ্ধের ১৩৯ বছর পর (১৮৯৬-৯৭ খ্রিস্টাব্দে) প্রকাশিত বাংলা ভাষায় সর্বপ্রথম ঐতিহাসিক অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় অনন্য ইতিহাস রচনায় কেবল পলাশীর যুদ্ধের সত্যই উন্মেচন করেননি; নবাব সিরাজউদ্দৌলার উপনিবেশিক ইংরেজের বিরুদ্ধে আত্মদানকারী প্রথম বীর রূপেও গণ্য করেছেন। পলাশীর যুদ্ধের ১৩৯ বছর পর দেশবাসী প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারে। অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় রচিত সিরাজউদ্দৌলার গ্রন্থে সর্বপ্রথম পলাশীর যুদ্ধের প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনে পূর্বকার তাঁবেদার লেখকদের বিকৃত ইতিহাস দ্রুত আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়। অক্ষয় কুমার মৈত্রের মিথ্যাচারের বানোয়াট ইতিহাসের মুখোশ উন্মোচন করেছিলেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, ইংরেজ সমর্থন-সহযোগিতায় রচিত পলাশীর যুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। ইংরেজ বেনিয়া ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অন্যায়ভাবে দেশ দখল, অনাচার, শোষণ, লুন্ঠন প্রমাণে অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় এবং অপর ঐতিহাসিক নিখিল নাথ রায় প্রকৃত ইতিহাস রচনায় পলাশীর যুদ্ধের কলঙ্কের মূলে অপরাধী ইংরেজদের দায়ীরূপে প্রমাণে সক্ষম হয়েছিলেন। পাশাপাশি ইংরেজদের মূল উদ্দেশ্য যে ছিল রাজনৈতিক সেটিও উন্মোচন করেছিলেন। নবীন চন্দ্র সেন ‘পলাশীর যুদ্ধ’ কাব্যে সিরাজউদ্দৌলার চরিত্রে অযথা কলঙ্ক লেপনের জন্য অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় তীক্ষè ভাষায় নবীন চন্দ্র সেনকে ভর্ৎসনা করেছিলেন। পলাশীর যুদ্ধ জয়ী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রাজনৈতিক অভিলাষ এবং আধিপত্য বিস্তারে ক্রমেই ভারতবর্ষকে অভিন্ন প্রক্রিয়ায় করতলগত করেছিল। খ্যাতিবান ঐতিহাসিক শেখর বন্দোপাধ্যায়ের গ্রন্থেও পলাশীর যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস প্রকাশ পেয়েছে। ‘নবাব সিরাজউদ্দৌলার দ্বিধাহীন চিত্তে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব রক্ষা করতে গিয়েই প্রাণ দিয়েছেন। ‘ইংরেজ বেনিয়াদের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে তাঁকে প্রথম ভারতীয় বীর রূপে গণ্য করতে হবে।’ অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় তাঁর গ্রন্থে উপরোক্ত কথাগুলো জোরের সঙ্গেই বলেছেন। কথাগুলো মোটেও মিথ্যে নয়, নির্ভেজাল সত্য এবং তা পৌনে দুইশত বছরের ইংরেজ উপনিবেশিক শাসনাধীনে প্রমাণিত হয়েছে।
পলাশী যুদ্ধের একশত ঊনচল্লিশ বছর প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে পেরেছিল ইংরেজ শাসকেরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পলাশী যুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস একশত ঊনচল্লিশ বছর পরে ইংরেজ শাসনামলেই প্রকাশ পেয়েছে। একটা সময় পর্যন্ত মানুষকে বিভ্রান্ত করা সম্ভব। স্থায়ীরূপে সম্ভব নয়। ইতিহাস থেকে বিজয়ীরা শিক্ষা গ্রহণ করে না। সে কারণে ক্ষমতার আনুকূল্যে নিজেদের বিজয়গাঁথা রচনায় প্রতিটি বিজয়ী শাসক ইতিহাস বিকৃতির অপকীর্তি করে থাকে। সিরাজউদ্দৌলাকে যোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার পূর্বশর্ত; সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রাম। এই সংগ্রাম উপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদবিরোধী রাজনৈতিক সংস্কৃতিরও সংগ্রাম। সঠিক ইতিহাস চর্চার সংগ্রামও নিশ্চয়।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধ-স্বাধীনতার ইতিহাস ক্ষমতার পালাবদলে ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে। প্রতিটি শাসক নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠে। আমাদের শাসকগোষ্ঠী ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি ঘৃণিত স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী ঘাতকের সঙ্গে রাজনৈতিক জোটবদ্ধ হয় প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে। ভোটের রাজনীতির নিয়ামক রূপে সাম্প্রদায়িক-যুদ্ধাপরাধীদের পর্যন্ত বিবেচনা করে থাকে। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। সবার কীর্তি-অপকীর্তি ইতিহাসে প্রকাশ পাবেই। শত বছর পর হলেও প্রকৃত সত্যকে আড়াল করা যায় না। নির্মূল করা যায় না। বিলম্বে হলেও ইতিহাস নির্মোহরূপে প্রকৃত সত্য প্রকাশ করবেই। এটাই ইতিহাসের ঐতিহাসিক ঐতিহ্য।
লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।