গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি আবার ভয়াবহ দিকে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে রাজধানীকে অবরুদ্ধ করে ফেলায় দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ঢুকতে পারছে না। মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে শত শত গাড়ি আটকে আছে; তৈরি হয়েছে ব্যাপক যানজট।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান জানান, “লকডাউনের কারণে অন্য জেলা থেকে আসা গণপরিবহনগুলোকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাদের ঢাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।”
সোমবার সাত জেলা অবরুদ্ধ থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান। জেলাগুলো হলো- মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও গোপালগঞ্জ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এসব জেলায় মালবাহী ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
দেশের যে কোনো স্থান থেকে ঢাকায় ঢুকতে হলে মানিকগঞ্জ কিংবা নারায়ণগঞ্জ কিংবা মুন্সীগঞ্জ কিংবা গাজীপুর হয়েই আসতে হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব সিদ্ধান্ত জানানোর পর রেলপথ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, ট্রেন এসব জেলার উপর দিয়ে চললে থামবে না।
আর বিআইডব্লিউটিএ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতিও দূরপাল্লার সব বাস, লঞ্চ চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে ঢাকার প্রবেশমুখে যানজটে আটকা পড়ার বিষয়টি অনেকেই ফেইসবুকের পরিবহন ও ট্রাফিক পাবলিক গ্রুপগুলোতে জানাচ্ছেন। কেউ আটকা পড়েছেন কুমিল্লার দাউদকান্দিতে, কেউবা নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজের গোড়ায়। বাধ্য হয়ে অনেকেই হেঁটে রওনা হয়েছেন গন্তব্যে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।