মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তানের জাতীয় কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টার (এনসিওসি) ঘোষণা করেছে যে, পিআইএ’র একটি বিশেষ বিমানে সাড়ে ১৫ লাখ সিনোভ্যাক অ্যান্টি-কোভিড ভ্যাকসিন ডোজের একটি বিশেষ চালান গত রোববার ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। চালানটি দেশব্যাপী টিকার ঘাটতি কাটিয়ে উঠার জন্য জরুরি ভিত্তিক সরকারি অর্ডারের অংশ।
এনসিওসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানের পরীক্ষিত বন্ধু হিসাবে চীন পাকিস্তানকে ভ্যাকসিনের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে’। দেশটিতে জাতীয় কোভিড-১৯ প্রচেষ্টার নীতি ও বাস্তবায়নের প্রধান সংস্থা আরো জানিয়েছে যে, আগামী সপ্তাহে চীনা ভ্যাকসিনের ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজের আরেকটি চালান পাকিস্তানে পৌঁছাবে এবং এরপরে সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। এসব ভ্যাকসিন সমস্ত ফেডারেশন ইউনিটে তাদের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী পরিবহণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী ড. ফয়সাল সুলতান বলেছিলেন যে, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য সরকার জরুরি অর্ডার দিয়েছে এবং সরবরাহ রোববার থেকে পৌঁছানো শুরু হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সুলতান আনাদোলু এজেন্সিকে বলেছেন, পাকিস্তান আগামী দশ দিনের মধ্যে প্রায় ৭০ লাখ ভ্যাকসিন ডোজ প্রধানত চীন থেকে গ্রহণ করবে। এ সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে জ্যাবের অভাবের মুখোমুখি হয়েছে সরকারের চলমান টিকাদান অভিযান। খবরে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবে মাত্র কয়েকটি ভ্যাকসিন সেন্টার কাজ করছিল, আর সিন্ধু ঘোষণা করেছিল যে, রোববার কোনো টিকা দেয়া হবে না।
কী কারণে এ অভাব ঘটে ডা. সুলতান তা বিশদভাবে বলেননি, তবে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, নতুন সরবরাহ আসার পরে সোমবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনও মজুত আছে ১০ লাখ ডোজ। তবে অবশ্যই এগুলো সারা দেশে বিতরণ করার মতো পর্যাপ্ত নয়’।
২০ কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে পাকিস্তান এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস সংক্রমণ হ্রাসের লক্ষ্যে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দিয়েছে। এ বছরের শেষ নাগাদ সরকারের ৭ কোটি মানুষকে টিকা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে গতকাল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে দিয়েছে সিন্ধু প্রদেশ। প্রদেশে এ যাবৎ ৩২ লাখ ভ্যাকসিন পৌঁছেছে এবং ইতোমধ্যে ২৮ লাখ ভ্যাকসিন দেয়া সম্পন্ন হয়েছে। ভ্যাকসিন সঙ্কটের কারণে রোববার একদিন ভ্যাকসিন কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর গতকাল থেকে আবার শুরু হয়েছে। গতকাল ১৫ লাখ সিনোভ্যাক টিকা গ্রহণ করেছে প্রদেশ এবং আগামীকাল ক্যানসিনোর ৭ লাখ ডোজ এবং পাকভ্যাকের ৪ লাখ ডোজ পাবে বলে জানিয়েছেন সিন্ধু প্রদেশের চিফ মিনিস্টার মুরাদ আলী শাহ। এছাড়া এ মাসের শেষ নাগাদ প্রদেশে রাশিয়ান স্পুটনিক-ভি সহজলভ্য হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সূত্র : আনাদোলু ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।