নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ইউরোর গ্রুপপর্বে নিজেদের তিন ম্যাচেই জয় পেল ইতালি। আর তাতেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত আজ্জুরিদের। অন্যদিকে ইতালির কাছে হারলেও গ্রুপ ‘এ’ থেকে ইতালির সঙ্গে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে ওয়েলস। গতপরশু গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ওয়েলসের বিপক্ষে পেসসিনার একমাত্র গোলে জয় পায় ইতালি। এটি ইতালির টানা ১১তম জয়। আর এই নিয়ে টানা ৩০তম ম্যাচ অপরাজিত আজ্জুরিরা। শেষবার ২০১৮ সালের সেপ্টেবরে পর্তুগালের বিপক্ষে হেরেছিল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ওয়েলসের বিপক্ষে জয়ের পরে ১৯৩৫ থেকে ১৯৩৯ সালে টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার নিজেদের রেকর্ড স্পর্শ করল ইতালি।
গ্রুপ এ থেকে আগেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয়েছিল ইতালির। অপেক্ষা ছিল কেবল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের। রোমার এস্তাদিও অলিম্পিয়াকোতে সেটাও নিশ্চিত করল আজ্জুরিরা। এই নিয়ে টানা ৩০তম ম্যাচে অপরাজিত রইল ইতালি। আর গ্রুপপর্বের তিন ম্যাচেই জয় নিয়ে পরের পর্বে গেল আজ্জুরিরা।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইতালির লক্ষ্য গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের রাউন্ডে যাওয়া। তাই তো এর আগে টানা ১০ ম্যাচে জয় পাওয়া আজ্জুরিরা খেলছিল ফুরফুরে মেজাজেই। নিজেদের শেষ ১০ ম্যাচে ৩১টি গোল করার বিপরীতে আজ্জুরিদের জালে বল জাড়াতে পারেনি কেউই। দুর্দান্ত রক্ষণের সঙ্গে দারুণ মধ্যমাঠ আরক্ষুরধার আক্রমণ ভাগের রবার্তো মানচিনির দলের লক্ষ্য ছিল তিনে তিন। দিন শেষে পূরণ হয়েছে আজ্জুরিদের লক্ষ্য।
ওয়েলসকে ঘরের মাঠে শুরু থেকেই চাপে রাখে ইতালি। শুরু থেকেই আক্রমণ করতে থাকে আজ্জুরিরা। ম্যাচে ৩৯তম মিনিটে মার্কো ভেরাত্তি সেট পিস থেকে ভাসানো বল বাড়ান ডি-বক্সের ভেতর। আর সেখান থেকে ডান পায়ের ভলিতে বল জালে জড়ান মাতেও পেসসিনা।
অবশ্য ম্যাচের ৩৫ মিনিট বাকি থাকতে বার্নার্দেস্কিকে বিপজ্জনক ফাউল করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ওয়েলসের এথান আম্পাদু। তবে ওয়েলসের ১০ জনের দলের সুবিধা নিতে পারেনি ইতালি। শেষ পর্যন্ত গোলের দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি করলেও আর গোল না হওয়ায় ওই ১-০ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ইতালি। আর গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই ইউরো ২০২০ এর নকআউটে নাম লেখায় আজ্জুরিরা।
ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে তুরস্ককে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে সুইজারল্যান্ড। আর তাতেই নকআউট পর্বের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল সুইসরা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ওয়েলসের সঙ্গে ড্র আর ইতালির কাছে হেরে শঙ্কায় ছিল তৃতীয় দল হিসেবে নকআউটে খেলা নিয়ে। তবে শেষ ম্যাচে তুরস্ককে হারানোয় সে আশা বাঁচিয়ে রাখল সুইসরা। তবে তৃতীয় দল হিসেবে ইউরোর শেষ ষোলতে জায়গা করে নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্যান্য গ্রুপ গুলোর দলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে সুইজারল্যান্ডকে।
তিন ম্যাচে একটি করে জয়, ড্র আর পরাজয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘এ’-তে তিনে অবস্থান করছে সুইজারল্যান্ড। সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকা ওয়েলস দুইয়ে থেকে শেষ করেছে।
নকআউটের আশা বাঁচিয়ে রাখতে তুরস্কের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না সুইসদের। অবশ্য কেবল জিতলেই হবে না, বড় ব্যবধানে নিশ্চিত করতে হত জয়। সেই সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হয়েছে ইতালি বনাম ওয়েলস ম্যাচের দিকেও। ওয়েলস বড় ব্যবধান হারলে দ্বিতীয় হয়ে সরাসরি পরের পর্বে যাওয়ার সুযোগ ছিল সুইসদের। অবশ্য তুরস্কের বিপক্ষে নিজেদেরও জিততে হত বড় ব্যবধানেই। এদিকে ওয়েলস ইতালির কাছে হারলেও ব্যবধান ছিল মাত্র ১-০ আর সুইসরা জিতেছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। তাতেই রক্ষা মিলেছে ওয়েলসের আর আশা বেঁচে থাকল সুইজারল্যান্ডের।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে হ্যারিস সেরেরোভিচের গোলে লিড নেয় সুইসরা। এরপর জার্দান শাকিরির ২৬তম মিনিটের গোলে লিড দ্বিগুণ করে তারা। দ্বিতীয়ার্ধের ৬২তম মিনিটে তুরস্কের হয়ে একটি গোল শোধ করেন ইরফান কাগভেচি। কিন্তু এর মিনিট ছয় পরে শাকিরির দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান ৩-১ করে সুইজারল্যান্ড।
গ্রুপ ‘এ’-তে নিজেদের তিন ম্যাচের তিনটিতে জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে নকআউটে ইতালি। আর একটি করে জয়, ড্র এবং হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হয়ে পরের রাউন্ডে ওয়েলস। সমান পরিসংখ্যান নিয়েও তিনে অবস্থান সুইজারল্যান্ডের। গ্যারেথ বেলের ওয়েলস +১ গোল ব্যবধান নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে। যেখানে সুইসদের গোল ব্যবধান -১। আর তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরে চতুর্থ হয়ে এবারের ইউরোর যাত্রা শেষ হয়েছে তুরস্কের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।