মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করার পর কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার নামে দেশটিতে তুর্কি সেনা মোতায়েন গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্টের আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি জামির কাবুলোভ বলেছেন, কাবুল বিমানবন্দরে তুরস্কের সেনা মোতায়েন তালেবানের সঙ্গে করা চুক্তির পরিপন্থি।
কয়েক দফা সময়সীমা পরিবর্তন করার পর অবশেষে চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান ছাড়ছে সব মার্কিন সেনা। তবে মার্কিন তথা ন্যাটো সেনারা চলে গেলেও দেশটির কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে তুরস্কের সেনারা।
এ বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি জামির কাবুলোভ বলেন, কাবুল বিমানবন্দরে তুর্কি সেনা মোতায়েন তালেবানের সঙ্গে করা চুক্তির পরিপন্থী। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার নামে দেশটিতে তুর্কি সেনা মোতায়েন রাখা গ্রহণযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের চলে যাওয়াকে আমেরিকার পরাজয় বলে উল্লেখ করেন রুশ প্রেসিডেন্টের আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি। তিনি বলেন, তবে মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান থেকে চলে যাওয়ার পর তুর্কি সেনা রেখে দেশটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না।
এর আগে আফগান তালেবানরাও দেশটিতে তুর্কি সেনা মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তালেবান বলছে, বিগত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে সেনা মোতায়েন রেখেছে তুরস্ক। এখন তাদেরও আফগানিস্তান ছাড়ার সময় হয়েছে। সুতরাং তাদের এদেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের শীর্ষ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর দেশটিতে পশ্চিমা কূটনীতিকদের যাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, সেজন্য কাবুল বিমানবন্দরে ন্যাটোর সদস্য দেশ তুরস্কের সেনারা মোতায়েন থাকবে। কাবুলে মোতায়েন তুর্কি সেনাদের খরচ বহন করবে ন্যাটো।
কথিত সন্ত্রাস দমনের নামে আমেরিকা ও তার মিত্ররা ২০০১ সালে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায়। দীর্ঘ ২০ বছরে ন্যাটো বাহিনীর হামলায় লাখ লাখ মানুষ হতাহত ও উদ্বাস্তু হয়েছে। যে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার নামে দেশটিতে হামলা চালানো হয়েছিল, সেখানে নিরাপত্তা তো প্রতিষ্ঠিত হয়-ইনি, বরং বেড়েছে অস্থিতিশীলতা।
আফগানিস্তান থেকে অপমানজনকভাবে মার্কিন সেনারা এমন সময় চলে যাচ্ছে যখন তারা গত ২০ বছরে আফগানিস্তানের নিরপরাধ হাজার হাজার মানুষকে হত্যা, দেশটির অবকাঠামো ধ্বংস এবং মাদক উৎপাদন বৃদ্ধি করা ছাড়া অন্য কোনো উপকার করতে পারেনি। সূত্র : আল জাজিরা, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।