সারাদেশেই করোনাভাইরাসের সংক্রম বাড়ছে। এর মধ্যেই দেশে প্রথম ধাপের ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন আজ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলবে। এই ২০৪টি ইউপির মধ্যে মাত্র ২০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হবে। আর বাকি ১৮৪টিতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নেয়া হবে। প্রথম ধাপের নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

ইসি প্রথম ধাপে ৩৬৭টি ইউপিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় করোনা প্রবণ এলাকার ১৬৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন পরে স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে করোনার উচ্চ ঝুঁকি সম্পন্ন এলাকা খুলনা বিভাগের সকল ইউনিয়ন পরিষদ যেমন, বাগেরহাট জেলায় ৬৮টি, খুলনা জেলায় ৩৪টি, সাতক্ষীরা জেলায় ২১টি, নোয়াখালী জেলায় ১৩টি, চট্টগ্রাম জেলায় ১২টি এবং কক্সবাজার জেলায় ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদ।

ইসি সূত্র জানায়, ১৩টি জেলার ৪১টি উপজেলায় ২০৪টি ইউনিয়ন পরিষদে আজ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপের এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৮৫৯ জন, সংরক্ষিত আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দুই হাজার ১৫৪ জন, সাধারণ আসনের মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছয় হাজার ৯৬০ জন। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত প্রার্থীর সংখ্যা ২৮ জন। প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৮৩৬টি। আর মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ১০ হাজার ২৬০টি। এই নির্বাচনে উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা প্রিজাইডিং ও সহকারি প্রিজাইডিং হিসেবে কাজ করবেন। প্রিজাইডিং ও সহকারি প্রিজাইডিং অফিসারের সংখ্যা ১২ হাজার ২০৭ জন। আর পোলিং অফিসারের সংখ্যা ২০ হাজার ৫২০ জন। নির্বাচনে মোবাইল পুলিশের সদস্য থাকবেন ২০৪ জন, স্ট্রাইকিং পুলিশ ৭৪ জন, র‌্যাবের টিম ১২৪টি, বিজিবি ১২৩ প্লাটুনসহ মোট ৫০৮৮টি ফোর্স মোতায়েন থাকবে। অন্যদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৩৯৩ জন এবং ৪১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন।