Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে ভারতে করোনায় মৃত্যু ১০ গুণ বেশি!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০২১, ১১:৫৪ এএম

ভারতে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু পর থেকে ব্যাপকহারে মানুষ মারা যাচ্ছে। প্রথম থেকে অভিযোগ সরকার মৃত্যুর তথ্য লুকাচ্ছে। এবার ভারতের বিহার রাজ্যে এ ধরণের তথ্য চুরির অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে।

চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ভারতের বিহারে যত মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে সরকারি হিসাবে জানানো হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে এই সংখ্যা তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি। করোনায় মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য লুকনোর অভিযোগ উঠেছে বিহার সরকারের বিরুদ্ধে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন বিপর্যস্ত গোটা দেশ, সেসময় জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে রাজ্যে ৭ হাজার ৭১৭ জন করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন বলে দাবি করেছিল বিহার সরকার। কিন্তু ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম’-এ নথিবদ্ধ হিসাব অনুযায়ী, ওই সময়ে বিহারে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মৃত্যুর কোনও কারণ উল্লেখ নেই।

কোভিড হানা দেওয়ার আগে ২০১৯ সালের প্রথম পাঁচ মাসের হিসাব অনুযায়ী, বিহারে ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন। ২০২১ সালে তা প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে হয় ২ লাখ ২০ হাজার। অর্থাৎ এক বছরেই ব্যবধান ৮২ হাজার ৯৫১।

এর মধ্যে ৬২ শতাংশের মৃত্যু হয় শুধু মে মাসেই। অথচ কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে, কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, তার কোনও হিসাব নেই ‘সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম’-এর কাছে।

সে কারণেই রাজ্য সরকারের কোভিড পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৭ হাজার ৭১৭ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা। ফলে এই পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্নের মুখে বিহার সরকার।

যদিও মৃত্যুর পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রে বরাবরই দুর্নাম রয়েছে বিহারের। কোভিডের ক্ষেত্রেও সেই ধারাই অব্যাহত রয়েছে। এর আগে, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্নাটক এবং দিল্লির বিরুদ্ধে কোভিডে মৃত্যু কমিয়ে দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল। এই পাঁচ রাজ্যে অন্তত ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষের মৃত্য়ুর কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে উঠে এসেছিল সংবাদমাধ্যমে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ