মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
২২০ গ্রাম ওজনের একটি হীরা পাওয়া গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ওজনের দিক থেকে এটি বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। ১০৯৮ ক্যারেটের হীরাটি বতসওয়ানার একটি খনি থেকে বার করা হয়েছে সম্প্রতি।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, বতসওয়ানায় উদ্ধার হওয়া হীরাটি সংস্থার ৫০ বছরের ইতিহাসে পাওয়া সবচেয়ে বড় আর মূল্যবান রত্ন। যদিও এই হীরার দাম কত হতে পারে, তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি সংস্থাটি। বড় হীরার নাম দেয়ার প্রথা বহু দিনের। বতসওয়ানার হীরাটির নামকরণও করা হয়নি এখনও। বতসওয়ানার সরকার এবং একটি বেসরকারি সংস্থার মিলিত মালিকানার এই সংস্থাটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিনেট আর্মস্ট্রং জানিয়েছেন, হীরাটি সরকারি ভাবে বিক্রি করা হবে না কি ওই বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে বাজারে আনা হবে— তা এখনও ঠিক হয়নি।
সঠিক হিসেবে এই হীরার ওজন ২১৯ দশমিক ৬ গ্রাম। ২৭ মিলিমিটার পুরু হীরাটির দৈর্ঘ্য ৭৩ মিলিমিটার এবং প্রস্থ ৫২ মিলিমিটার। এর ঠিক আগেই রয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হীরা লেসেডি লা রোনা। লেসেডির ওজন ১১০৯ ক্যারেট। অর্থাৎ ২২১ দশমিক ৮ গ্রাম। এই হীরাটিও পাওয়া গিয়েছিল বতসওয়ানার খনি থেকেই। ২০১৫ সালে ওই হীরা খনন করেছিল লুকারা ডায়মন্ড নামে একটি সংস্থা। লেসেডি ২০১৭ সালে বিক্রি হয়েছিল ৫ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলারে। এখনকার হিসেবে বাংলাদেশী মূদ্রায় যা প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা।
তবে এই দুই হীরার মোট ওজনের থেকেও অনেক বেশি ‘কালিনান স্টোন’-এর ওজন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় হীরা কালিনান ৩১০৬ ক্যারেটের। ওজন ৬২১ দশমিক ২ গ্রাম। সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া হীরাটি বতসওয়ানার প্রেসিডেন্ট মোকগুইৎসি মাসিসির হাতে তুলে দিয়েছে ওই সংস্থা। বতসওয়ানার খনিজ মন্ত্রী লেফোকো মোয়াগি জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের হীরা বিক্রি শিল্প অনেকটাই মার খেয়েছিল। নতুন হীরাটি অর্থনৈতিক ভাবে দীর্ণ দেশটিকে নতুন আশা জোগাল বলে জানান তিনি। কারণ, হীরা বিক্রির ডিভিডেন্ট, রয়্যালটি এবং কর থেকেই ৮০ শতাংশ আয় হয় সরকারের।
তবে কোভিড পরিস্থিতিতে এই সংস্থার হীরা উৎপাদনের পরিমাণ ২৯ শতাংশ কমে যায়। ২০২০ সালে মোট ১৬ কোটি ৬০ লাখ ক্যারেট হীরা উৎপাদন করেছিল সংস্থা। বার্ষিক হীরা বিক্রিও ৩০ শতাংশ কমে হয়েছিল ২১০ কোটি মার্কিন ডলার। নতুন হীরাটির ভরসায় অবশ্য ২০২১ সালে হীরা বিক্রির অঙ্ক ৩৮ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর স্বপ্ন দেখছে সংস্থা। সূত্র: এবিসি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।