পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রেটিনোপ্যাথি অফ প্রিম্যাচুরিটি (আরওপি) বা আরওপি-জনিত শিশু অন্ধত্বকে বাংলাদেশের জন্য এক ক্রমবর্ধমান জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন দেশের চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞরা। গতকাল রাজধানীতে আরওপি বিষয়ক একটি জাতীয় কর্মশালায় বক্তৃতাকালে তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর আনুমানিক ৩৮ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করে যার মধ্যে ৪ লাখ ৩৮ হাজার শিশু অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে। তাদের মতে, অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেয়া শিশুদের একটি বড় অংশ আরওপি-জনিত অন্ধত্বের ঝুঁকিতে থাকে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। চিকিৎসা শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও আইএপিবি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান প্রফেসর এএইচএম এনায়েত হোসেন এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মো. শামসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালা বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রধান ডা. সানজানা ভরদ্বাজ, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ এবং আইআরডি গ্লোবাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. তাপস রায়। এতে আরও যোগ দেন ন্যাশনাল আই কেয়ার/এনআইওএইচ থেকে প্রফেসর মো. সাইফুল্লাহ এবং ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল থেকে প্রফেসর নাজমুন নাহার।
বাংলাদেশে আরওপি’র কারণে শৈশব অন্ধত্ব এড়ানোর জন্য একটি সক্রিয় সমন্বয় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার লক্ষে ডিজিএমই, আইআরডি গ্লোবাল, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল এবং ইউনিসেফের সহায়তায় ডিজিএইচএস’র এনএনএইচপি এবং আইএমসিআই প্রোগ্রাম এ কর্মশালার আয়োজন করে। ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, আরওপি অপরিণত শিশুদের একটি গুরুতর সমস্যা। আমরা মাতৃ, নবজাতক ও শিশু স্বাস্থ্য পরিকল্পনার সংশোধিত সংস্করণে এবং ন্যাশনাল আইকেয়ার প্ল্যানে নিকট ভবিষ্যতে আরওপি অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করব। কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত এবং কিছু বাদ দেয়া যেতে পারে এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তিনি নির্দেশিকা প্রণয়নের পরামর্শ দেন। তিনি স্বাস্থ্য খাতে সরকারের অর্জনে সরাসরি জড়িত থাকার জন্য প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ সমিতিকে ধন্যবাদ জানান। আইএপিবি এবং ডব্লিউএইচও’র ২০ বছরের যাত্রার প্রতিফলন করার সময় মূল উপস্থাপক এনায়েত হোসেন বলেন, এটি সময়ের বিরুদ্ধে একটি প্রতিযোগিতা ছিল। আমরা ২০০০ সালে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অফথালমোলোজির পেডিয়াট্রিক অপথালমোলজি বিভাগ চালু করে একটি সংগঠিত পদ্ধতিতে শৈশব অন্ধত্ব নিয়ে কাজ শুরু করি। আমরা দুটি প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ শুরু করেছি, ক্র্যাশ প্রোগ্রাম এবং সিস্টেম শক্তিশালীকরণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।