বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দিনভর টানাবর্ষণে খুলনার বেশ কয়েকটি সড়ক চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচল করছে ঝুঁকি নিয়ে। পথচারী ও ছোট ছোট বাহনগুলোকে কাদাপানি মাড়িয়ে চলতে হচ্ছে।
সূত্র জানায়, খুলনা মহানগরীতে দীর্ঘ সময় ধরে ড্রেনেজসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ চলছে। বছরখানেক আগে পানি সরবরাহ প্রকল্পের (ওয়াসা) ভূগর্ভস্থ পাইপ বসানোর কাজ করায় নগরীর অধিকাংশ রাস্তাগুলো ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। দীর্ঘ সময় পার হলেও অনেক সড়কই যথাযথভাবে সংস্কার করা হয়নি। কয়েকটি সড়ক দায়সারা গোছের কাজ করায় সেগুলো সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায়। এতোদিন শুকনো মওসুম থাকায় সাধারণ মানুষ ধূলোবালির আস্তরণ মেখে পথ চলাচল করছিল। বর্ষা চলে আসায় এখন পানিবদ্ধতার নতুন ভোগান্তি যোগ হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মহানগরীর খুলনা-যশোর মহাসড়কের গোয়ালখালি এলাকায় দেখা গেছে রাস্তায় বৃষ্টির পানি ও এবং কাদা জমে যান ও পথচারী চলাচলে চরম প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া রাস্তার ছোটবড় গর্তে তিনচাকার হাল্কা যানগুলো মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনায় পড়ছে। একই চিত্র দেখা গেছে মুজগুন্নি এলাকার মহাসড়কে। রাস্তা বলতে সেখানে বড় বড় গর্ত ছাড়া আর কিছু নেই। রাস্তার কার্পেটিং উঠে গেছে কয়েক বছর আগে। এরপর ইট সরে গিয়ে শুধুই গর্ত। সড়কটি নগরীর নতুন রাস্তা মোড়ের সাথে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালকে যুক্ত করেছে। রাস্তার দুপাশে আবাসিক এলাকা ও বেশ কিছু সরকারি অফিস অবস্থিত। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার উন্নয়নের নামে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে এ অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী খান ইনকিলাবকে বলেন, দ্রুত নগরীর রাস্তাগুলো সংস্কার করা হবে। আপাতত পরিস্থিতি সামাল দিকে ইট ও বালু দেয়া হবে। বর্ষা শেষ হলে বড় ধরণের সংস্কার করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।