Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুম্বাইয়ে প্রায় ৪০০ জনকে ‘ভুয়া’ টিকাকরণ!

আম্বানির হাসপাতালের প্রতিনিধি সেজে প্রতারণা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

করোনার প্রকোপ কমাতে টিকাকরণের গতি যে আরো বাড়ানো দরকার তা বারবার বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। সেইমতো সরকারি ও বেসরকারি কেন্দ্রে চলছে টিকাকরণ। কিন্তু যদি টিকা নেয়ার পরে জানা যায়, আসলে কোভিড টিকা দেওয়াই হয়নি! ‘ভুয়া’ টিকা দিয়ে ঠকানো হয়েছে? এমনই অভিজ্ঞতা মুম্বাইয়ের কান্দিভালি এলাকার এক আবাসনের বাসিন্দাদের। সেখানে ভুয়া টিকাকরণের শিকার হতে হয়েছে ৩৯০ জনকে!

জানা গেছে, নিজেকে ‘কোকিলাবেন আম্বানি হাসপাতাল’-এর প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করে রাজেশ পাণ্ডে নামের এক ব্যক্তি ওই আবাসন চত্বরে টিকাকরণের ব্যবস্থা করেন। তিনি একা নন, এ কাজে তাকে সাহায্য করেন সঞ্জয় গুপ্তা নামের এক ব্যক্তি। মাহেন্দ্র সিং নামের এক ব্যক্তি টিকার দাম সংগ্রহের কাজ করেন। এ তিনজন ছাড়া আরো কেউ এ চক্রে শামিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একটি টিকার মূল্য ১২৬০ টাকা ধরে সব মিলিয়ে আবাসনের বাসিন্দাদের থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

কিন্তু কী করে বোঝা গেল এ টিকা ভুয়া? আবাসনের এক বাসিন্দার কথায়, ‘আমার ছেলে ওখান থেকে টিকা নিয়েছে। একটি ডোজের দাম ১২৬০ টাকা। কিন্তু ভ্যাকসিন নেয়ার পরে আমরা ফোনে কোনো মেসেজ পাইনি। এমনকি, টিকা নেয়ার সময় কাউকেই ছবি বা ভিডিও তুলতে দেয়া হয়নি’। এখানেই শেষ নয়। টিকা নেয়ার পর সাধারণত অনেকের মধ্যেই নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কিন্তু এ আবাসনের শ’ চারেক বাসিন্দার কেউই কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় ভোগেননি। তাছাড়া কাউকে টিকা নেয়ার সার্টিফিকেটও দেয়া হয়নি।

অবশেষে প্রায় সপ্তাহ দুয়েক পরে সার্টিফিকেট দেয়া হয়। আর তখনই দানা বাঁধতে থাকা সন্দেহ আরো প্রবল আকার ধারণ করে। দেখা যায় সার্টিফিকেটগুলোতে বিভিন্ন হাসপাতালের নাম লেখা। কারোটায় নানাবতী হাসপাতাল, তো কারোটায় লাইফলাইন হাসপাতাল। এরপর খোঁজ করতেই সেসব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানিয়ে দেয়া হয়, ও আবাসন চত্বরে কোনো রকম টিকাকরণের সঙ্গে তারা যুক্ত ছিল না। এরপরই পরিষ্কার হয়ে যায় আসল সত্যিটা। বোঝা যায় প্রতারকের পাল্লায় পড়েছেন ওই বাসিন্দারা।

স্বাভাবিক ভাবেই এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন আশপাশের এলাকার বাসিন্দারাও। তাদের নেয়া টিকাটাও ‘ভুয়া’ নয় তো, এমনই চিন্তা পাক খাচ্ছে তাদের মনে। অবিলম্বে প্রশাসন এ ধরনের জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিক ও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুক, উঠছে সেই দাবি। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে, টাইমস অব ইন্ডিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ