Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লাইকি ভিডিও বানানোর প্রলোভনে সিলেটে ধর্ষণের শিকার এক তরুণী

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২১, ৯:৪০ পিএম

লাইকি ভিডিও করার প্রলোভন। নিয়ে যাওয়া হলো তরুণীকে সিলেটের অন্যতম পর্যটন এলাকা জাফলংয়ে। তারপর ধর্ষণ করা হলো তরুণীকে। সস্তা বিনোদনে ফাঁদে পড়ে সতীত্ব হারানোর মেয়েটির বাবা রিকশাচালক এঘটনায় মামলা দায়ের করেন এসএমপির শাহপরাণ থানায়। কিন্তু এখনো ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে ধর্ষক ও তার সহযোগীরা। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করছে নগরীতে। উল্টো মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমন অভিযোগ তুলে ধরে আজ (সোমবার) বেলা আড়াইটায় সিলেট সংবাদ সম্মেলনে করেন ধর্ষিতার বাবা। ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ইসলামপুরে। বর্তমানে জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর বাজার এলাকায় বসবাস করছেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে তরুণীর বাবা বলেন, সম্প্রতি লাইকি অ্যাপসে ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানার টিলাগড় এলাকার লিজা নামে এক মেয়ের সাথে পরিচয় হয় তার মেয়ের। ওই লিজার মাধ্যমে পরিচয় ঘটে জুবায়ের আহমদ ওরফে মি. ফান্নী আহমদের। তার বাড়ী সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাণীগাজী গ্রামে। জুবায়ের বর্তমানে নগরীর শিবগঞ্জ লামাপাড়া এলাকার মোহিনী ৮৩/এ বাসায় তার বোনের সাথে বসবাস করে। এরপর তারা সবাই ফোনে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতো। জুবায়ের মি. ফান্নী আহমদ নামে লাইকি অ্যাপস ব্যবহার করে বিভিন্ন ভিডিও প্রকাশ করে।

তিনি আরও উল্লেখ্য করেন, গত ১৭ মে তাঁর তরুণী মেয়ে আমার বাসার মালিকের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ বেড়াতে যায়। সেখানে অবস্থান করা কালে ১৯ মে লিজা আমার মেয়েকে লাইকি ভিডিও করতে জাফলং বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। সেখানে যেয়ে সবাই মিলে লাইকি ভিডিও করবে। একপর্যায়ে আমার মেয়ে বিষয়টি অবগত আমাকে। আমি সরল বিশ্বাসে লিজার সাথে কথা বলে জাফলং যাওয়ার অনুমতি দেই মেয়েকে। এরপর লিজা বিশ্বনাথ উপজেলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিয়ে যায় আমার মেয়েকে। সেখান থেকে লিজা তাকে নিয়ে যায় সিলেট শিবগঞ্জ এলাকায় জুবায়েরের বাসায়। এসময় আমার মেয়ে ওই বাসায় যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে লিজা তাকে বলে এখানে একটু সময় বসতে হবে। সে বাসা থেকে কাপড় বদলে আসলে জাফলংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হবে। তখন আমার মেয়ে নাস্তা খেতে দেয় জুবায়ের। নাস্তা খাওয়ার পরপরই সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় জুবায়ের জোরপূর্বক রাতভর ধর্ষণ ও মারধর করে আমার মেয়েকে। পরদিন সকালে আমার মেয়েকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে বিশ্বনাথ দিয়ে যায়। এসময় জুবায়ের এই ঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দিয়ে যায়।

নির্যাতিতার বাবা আরো বলেন, আমার মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসার পর আবার অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। পরে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। এ ঘটনায় গত ২৬ মে এসএমপির শাহপরাণ থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে বিষয়টি তদন্ত ও সরেজমিনে তদন্ত করে গত ১জুন মামলা রুজু হয়। মামলা নং ০১ (০১/০৬/২০২১)। মামলা দায়েরর এতোদিন পরও আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে আমাকে। এতে আমি ও আমার পরিবারের সদস্য চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।



 

Show all comments
  • Dadhack ১৪ জুন, ২০২১, ৯:৫৫ পিএম says : 0
    এই মেয়েটা অসভ্য, সেই জন্যই ধর্ষণের শিকার হয়েছে.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিলেট


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ