মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জার্মানিতে তুরস্কের ড্রোন হামলা হলে দেশটির সেনাবাহিনী সেই ড্রোন হামলা ঠেকাতে সক্ষম হবে না। জার্মানিভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক মনুষ্যবিহীন ড্রোন বাজার পর্যালোচনা এবং গত বছর নাগোর্নো-কারাবাখ যুদ্ধে ড্রোনের ভূমিকা পর্যালোচনা করে এমন মন্তব্য করেছে। খবর ডেইলি সাবাহর।
জার্মানির প্রতিরক্ষা ইনস্টিটিউটের আধুনিক যুদ্ধবিদ্যা বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাইকেল কার্ল বলেন, মারাত্মকভাবে বলতে গেলে, যদি জার্মান সেনাদের আজারবাইজানের ওই যুদ্ধ মোকাবেলা করতে হতো, তাহলে তারা দাঁড়াতেই পারতো না।
তিনি বলেন, আজারবাইজান যুদ্ধে যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে, এমন কম্বাট ড্রোন এবং কামিকাযি ড্রোন হামলা হলে জার্মানির সেনাবাহিনী কার্যকর প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হবে না। আমাদের সেনাবাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষার ঘাটতি আমাদের সর্বনাশের কারণ হবে।
গত বছর নাগোর্নো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান ৪৩ দিনের যুদ্ধে জড়ায়। এই যুদ্ধে আর্মেনিয়ার কাছ থেকে অনেক অঞ্চল জয় করতে সক্ষম হয় আজারবাইজান। এর কৃতিত্বের বড় অংশে ছিল তুরস্ক এবং ইসরাইলের তৈরি ড্রোন। আর্মেনিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ে আজারবাইজান তুরস্কের বেয়ারআকতার ড্রোন ব্যবহার করে।
জার্মানির ওই সমরবিদ বলেন, আধুনিক যুদ্ধে জিততে হলে জার্মান সেনাদের প্রযুক্তি প্রয়োজন। জার্মান বাহিনীতে প্রযুক্তি থাকলেও সেসব প্রযুক্তি তারা ব্যবহার করে না।
তিনি আরও বলেন, কামিকাযি হলো একধরনের আত্মঘাতী বিমান- যেগুলো বিস্ফোরক অস্ত্রে সজ্জিত থাকে এবং লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত করে নিজেই বিস্ফোরিত হয়ে যায়। এটা ড্রোন প্রযুক্তির নিখুঁত উন্নতি।
উল্লেখ্য, এর আগে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তুরস্কের সশস্ত্র ড্রোনের প্রশংসা করেছে স্পেনও। একটি স্প্যানিস গণমাধ্যমের একটি নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘তুরস্কের ড্রোনগুলো বিশ্ব জয় করেছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের জঙ্গি ড্রোনগুলো আসাদ বাহিনীর আক্রমণকে মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিহত করেছে। এছাড়া তুরস্কের ড্রোনগুলো লিবিয়ার যুদ্ধবাজ নেতা খলিফা হাফতারকে বাধ্য করেছে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করতে। এর মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে সঙ্ঘাত থেমে যায়।
কয়েক ডজন রাশিয়ান বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে এ ড্রোনের মাধ্যমে। এছাড়াও বিপুল সংখ্যক ট্যাংক ও কামান ধ্বংস করে এ ড্রোনগুলো। তুরস্কে সাফল্যের পেছনে এ ড্রোনগুলোই ছিল গোপন অস্ত্র। এ ড্রোনগুলো যুদ্ধের প্রধান অস্ত্র হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এ যুদ্ধগুলোতে ড্রোনের চাতুর্যপূর্ণ ব্যবহার হয়েছে বলেও বর্ণানা করা হয়েছে এ নিবন্ধে।
নার্ভারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মিচেল টানছুম বলেন, তুরস্কের এ ড্রোনব্যবস্থা খুবই কার্যকর কারণ তারা নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারে এমন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা (গাইডেড প্রজেক্টাইল) ব্যবহার করে। এছাড়া এ ড্রোনগুলোতে ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থাও সংযুক্ত করা হয়েছে।
তুরস্কের ড্রোন ব্যবহারের কৌশল সমগ্র বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ উদ্বুদ্ধ হয়েছে তাদের নিরাপত্তা ব্যাবস্থার কৌশলকে তুরস্কের সাম্প্রতিক সাফল্যের আলোকে পুননির্মাণ করার জন্য। সিরিয়া, লিবিয়া ও নাগরনো-কারাবাখ যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে তুরস্কের সামরিক কৌশলের সফলতার কারণেই অন্য দেশগুলো এ দেশটিকে অনুসরণ করছে বলে বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন। সূত্র : ইয়েনি সাফাক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।