Inqilab Logo

সোমবার, ১০ জুন ২০২৪, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

যুক্তরাষ্ট্রে জনসনের ৬ কোটি ডোজ টিকা নষ্টের নির্দেশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২১, ১২:০০ এএম

জনসন অ্যান্ড জনসনের (জেঅ্যান্ডজে) লাখ লাখ করোনাভাইরাসের টিকা নষ্ট করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। বলা হয়েছে, জেঅ্যান্ডজের বাল্টিমোর ভিত্তিক কারখানায় টিকা উৎপাদন নিয়ে সমস্যা দেখা দেয় সম্প্রতি। তা সত্ত্বেও লাখ লাখ টিকা ব্যবহারের জন্য ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়েছে। এর বাইরে বিপুল পরিমাণ টিকা আছে। এসব টিকা এখন তাদেরকে অবশ্যই টিকা নষ্ট করে ফেলতে হবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে জানেন এমন দুটি সূত্র বলেছেন, প্রায় এক কোটি ডোজ টিকা ছাড় দেয়া হয়েছিল। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস বলেছে, যে পরিমাণ টিকার ডোজ মুক্ত করে দেয়া হয়েছিল তাতে ছিল ৬ কোটি ডোজ। তবে টিকার সংখ্যা বা ডোজের নিশ্চিত সংখ্যা প্রকাশ না করে এফডিএ বলেছে, তারা ওই টিকার দুটি ব্যাচ ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু আরও বেশ কিছু ব্যাচের টিকা ব্যবহার করা স্বস্তির হবে না। বাকি এসব টিকার মান যাচাই করার প্রয়োজন রয়েছে।

এফডিএ আরো বলেছে, জেঅ্যান্ডজে’র টিকা উৎপাদনের জন্য ইমারর্জেন্ট বায়োসলিউশন্স ইনকরপোরেশনকে অনুমোদন দিতে এখনও প্রস্তুত নয় তারা। এপ্রিলে বাল্টিমোরে অবস্থিত কারখানায় জেঅ্যান্ডজের টিকা উৎপাদন বন্ধ করে দেয় মার্কিন কর্তৃপক্ষ। ওই কারখানায় টিকা উৎপাদনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জেঅ্যান্ডজেকে। এসব বিষয়ে জানেন এমন একটি সূত্র বলেছেন, জেঅ্যান্ডজের ডোজগুলো অন্য দেশে রপ্তানি করার কথা। এসব ডোজ এরই মধ্যে প্রক্রিয়াজাত করে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, জেঅ্যান্ডজের টিকা এক ডোজের। ফাইজার বা মডার্নার মতো দুটি ডোজ নিতে হয় না এই টিকা। যুক্তরাষ্ট্রে টিকার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। তার সাথে জেঅ্যান্ডজের টিকার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এর ফলে সেখানে এক জটিল অবস্থা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত ২ কোটি ১০ লাখ টিকার মধ্যে অর্ধেকের মতো এখনও অব্যবহৃত পড়ে আছে। এফডিএ বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহার এবং বিদেশে রপ্তানির জন্য জেঅ্যান্ডজের টিকা অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু যেসব টিকা কারখানা থেকে ছাড় দেয়া হচ্ছে তার উৎপাদন বিষয়ে প্রাসঙ্গিক তথ্য ভাগাভাগি করতে হবে এফডিএর সাথে। এতে অবশ্যই রাজি থাকতে হবে ওষুধ প্রস্তুতকারক জেঅ্যান্ডজে এবং ইমার্জেন্টকে। সূত্র : রয়টার্স।



 

Show all comments
  • নোমান মাহমুদ ১৩ জুন, ২০২১, ১:৫২ এএম says : 0
    টিকা নেয়াও নিরাপদ না দেখছি। মানুষ কোথায় যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • রক্তিম সূর্য ১৩ জুন, ২০২১, ১:৫৩ এএম says : 0
    তারা টিকা নষ্ট করে অন্যদিকে গরীব দেশগুলো টিকা পায় না।
    Total Reply(0) Reply
  • রফিকুল ইসলাম ১৩ জুন, ২০২১, ১:৫৪ এএম says : 0
    করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে ধনী দেশগুলোর রীতিমতো ব্যবসা রমরমা চলছে।
    Total Reply(0) Reply
  • রুবি আক্তার ১৩ জুন, ২০২১, ১:৫৪ এএম says : 0
    মানহীন টিকা দেয়ার থেকে না দেয়ায় ভালো।
    Total Reply(0) Reply
  • কাওসার আহমেদ ১৩ জুন, ২০২১, ৯:৫৩ এএম says : 0
    এসব টিকা এখন তাদেরকে অবশ্যই টিকা নষ্ট করে ফেলতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ