বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ে চা চাষের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে দৈনিক ইনকিলাবে সম্প্রতি প্রকাশিত ‘ঝিনাইগাতীতে চা চাষের উজ্জল সম্ভাবনা’ শিরোনামে রিপোর্টটির সত্যতা প্রমানিত হলো। এই সংবাদ প্রকাশের পর উত্তর ময়মনসিংহ বন বিভাগ গারো পাহাড়ে ইতোমধ্যেই জেলা-উপজেলায় পরীক্ষামূলক চা উৎপাদন শুরু করেছে। এতে সফলতাও পাওয়া গেছে।
গারো পাহাড়ে চা চাষ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে চা বোর্ড। এ জন্য ময়মনসিংহ অঞ্চলে স্থাপন করা হবে চা বোর্ডের আঞ্চলিক অফিস। গত বছর চা গবেষণা ইন্সটিটিউটের পরিচালক-ডা. মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে চা বোর্ডের একটি প্রতিনিধি দল জেলার ঝিনাইগাতী এবং শ্রীবরদী উপজেলার পাহাড়ি এলাকা পরিদর্শনের সময়ও সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রতিনিধি দল ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা এবং টাঙ্গাইলের মধুপুরসহ পাহাড়ি অঞ্চলে পরীক্ষামূলক চা বাগান পরিদর্শন করেন বলে জানান।
প্রতিনিধি দলে বাংলাদেশ চা বোর্ডের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাসুদ রানা, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুন, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাঈম মোস্তফা আলী ও সহকারী উন্নয়ন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান আকন্দ দলটির সঙ্গে ছিলেন। তারা বাগানের মাটিও পরীক্ষা করেন। পরিদর্শক দল ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ের গজনী ও বাকাকুড়া, শ্রীবরদী উপজেলার খাড়ামূড়া যান।
উল্লেখ্য, কিছু স্থানে আগেই গারো হিলস টি কোম্পানির সৃজন করা চা বাগান রয়েছে। মাটি পরীক্ষা এবং চা চাষিদের সাথে মতবিনিময় করে ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ি এলাকাকে চা চাষের জন্য উপযুক্ত বলে উল্লেখ করেন। ‘গারো হিলস টি কোম্পানির’ ঝিনাইগাতীর গজনী বনরানী রেস্ট হাউসে-গারো হিলস টি কোম্পানির কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। প্রতিনিধি দল জানান, চা বোর্ড উত্তর ময়মনসিংহের চা চাষের উদ্যোগ নিয়েছে। তারা আরো বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৫ জেলার ১৫ উপজেলায় ১৫ হাজার ৬৪৫ একর জমিতে চা চাষ সম্ভব এবং চা আবাদের আওতায় আনলে এখান থেকে বছরে ১৬ দশমিক ৩৭ মিলিউন কেজি চা উৎপাদিত হবে।
প্রতিনিধি দল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন-ইতোমধ্যেই চা বোর্ড ৭৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এক হাজার ২৩৫ একর জমিতে চা চাষ সম্প্রসারণ করাতে ময়মনসিংহ বিভাগে ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্প শিরোনামে একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এ থেকে ১ দশমিক ৫০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হবে এবং ২ হাজার লোকের কর্মসংস্থাপনের ব্যবস্থা হবে। উত্তর ময়মনসিংহের গারো পাহাড়ি এলাকায় চা চাষের উদ্যোক্তা-‘গারো হিলস টি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক’ আমজাদ হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন-বাণিজ্যিকভাবে চা চাষের জন্য স্থানীয়ভাবে ২৭ জন কৃষকের মধ্যে ২৭ হাজার উন্নত জাতের চা চারা বিতরণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিল থেকে শুরু চা চারা রোপন। ইতোমধ্যেই ঝিনাইগাতীতে ১৩ জন, শ্রীবরদীতে ৬ জন, নালিতাবড়ীতে ৩ জন, নকলায় ৪ জন ও ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ১ জন কৃষক ৫ দশমিক ৩১ একর জমিতে চা চাষ শুরু করেছেন। চা গাছগুলো সুন্দরভাবে বেড়ে উঠছে।
এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবেল মাহমুদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন-ঝিনাইগাতী গারো পাহাড়ে চা চাষ হচ্ছে, এটা একটি ভালো লক্ষণ। এতে সরকারও লাভবান হবেন, পাশাপাশি অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।