পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শেরপুর গারো পাহাড়ের চার উপজেলায় সহস্রাধিক পরিবারের জীবন-জীবিকার একমাত্র অবলম্বন বাঁশজাত পণ্য তৈরি। এসব পণ্য তৈরি ও বিক্রি করে তারা পরিবার নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। এতেই চলছে জীবন-জীবিকা।
জেলার ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী, নালিতাবাড়ি ও নকলা উপজেলার সহস্রাধিক পরিবার এই পেশায় জড়িত। এসব পরিবারে শিশু মহিলা ও বয়স্করা ছাড়াও ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ালেখার ফাঁকে এ কাজ করে সংসারের হাল ধরছে। নারীরাও সাংসারিক কাজের ফাঁকে পুরুষদের পাশাপাশি বাঁশের পণ্য তৈরির কাজে ব্যস্ত জীবন কাটাচ্ছেন।
নকলা উপজেলার কবুতরমারি গ্রামের আলহাজ জাকির হোসেন চঞ্চল, শ্যামল, কোমলসহ অনেকে জানান, চন্দ্রকোনা, নারায়ণখোলা, চরকৈয়া, মমিনাকান্দা, বারমাইসা, ছত্রকোনা, বাউসা, মৌজার, চিথলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার তিন শতাধিক পরিবার এই পেশায় জড়িত। রুটি রুজির মাধ্যম এই পেশায় চলে তাদের জীবন জীবিকা। বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী তৈরি করে পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করা। যা আয় হয় তা দিয়েই সংসার চলে।
ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ালেখার খরচ চালিয়ে সংসারে কিছুটা হাল ধরে। নকলা উপজেলার চরঅষ্ঠধর ইউনিয়নের নারায়নখোলা গ্রামের এক এলাকায় প্রতিটি পরিবারই এ পেশায় জড়িত বলে রীতিমত বেপারিপাড়া হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
জেলার সব উপজেলায় ছড়িয়ে রয়েছে সহস্রাধিক বাঁশ শিল্পী। শিল্পীরা বাঁশ দিয়ে মাছ ধরার চাঁই, ডোল, ধান রাখার বড় ডোল, বেড়, কুলা, চালুন, ছোট ডোল, ধানের মাচা, খাঁচা, ছাটাই-ধারাই ইত্যাদি তৈরি করে বাজারজাত এবং গ্রামবাংলার দৈন্যদিন চাহিদা মেটায়। অতিদরিদ্র বাঁশ শিল্পীরা ধার দেনা করে এসব তৈরি করে বাপ-দাদার পেশাকে টিকিয়ে রেখেছেন। পাচ্ছেন না সরকারি কোন সাহায্য ও সহায়তা।
আজো গ্রামবাংলায় বাঁশজাত পণ্যের ব্যাপক চাহিদা। শিল্পীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাঁশের তৈরি পণ্য পাইকাররা কিনে নেয়। কিন্তু হাজারো বাঁশ শিল্পীর কোনো খোঁজ রাখে না কেউই। বিশেষ করে সমাজসেবা অধিদফতরকে জিজ্ঞেস করলে তারা নিশ্চুপ থাকে।
বাঁশজাত শিল্পের সাথে জড়িতরা অসহায় অবস্থায় বাপ-দাদার পেশাকে টিকিয়ে রাখতে হিমসিম খাচ্ছেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন কবির ইনকিলাবকে বলেন, ক্রমেই বাঁশঝাড় উজাড় হয়ে যাচ্ছে। বাঁশ দিয়ে কৃষিপণ্য তৈরি ও বাজারজাত করে অনেক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করেন। তাই বাঁশ শিল্পকে ধরে রাখা দরকার। যা গ্রামবাংলার কৃষকদের গৃহস্থালীতে একান্ত প্রয়োজন। ঘর বাড়ির পাশে পতিত জমিতে বাঁশ রোপন অপরিহর্য বলে তিনি মনে করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।