বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুন করে বিদেশে পালিয়ে যায় খুনি। তবে আত্মগোপন করেও শেষ রক্ষা হয়নি। পাঁচ বছর পর ধরা পড়ে সে। চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পোমরায় নৃশংস খুনের শিকার সিএনজি অটোরিক্সা চালক মো. ইকবাল হোসেনের দুর্ধর্ষ খুনি মো. মামুনকে (২৮) শুক্রবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খুনিরা ইকবালকে খুনের পর কয়েক টুকরো করে লাশ পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখে। প্রায় ১৫ দিন পর পুলিশ লাশ উদ্ধার করলে ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসে। ঘটনার পর মামুন মধ্যপ্রাচ্যে পালিয়ে যায়। মামুন পোমরা ইউনিয়নের ছাইনি পাড়া গ্রামের মেরা মিয়ার ছেলে। আর খুনের শিকার ইকবাল (২৫) পোমরা ইউনিয়নের রোসাইপাড়া এলাকার নূর হোসেনের ছেলে। পুলিশ জানিয়েছে ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই মামুন ও তার সহযোগী মো. সৈয়দ, নবীর হোসেন বুলেট, জাহেদুল ইসলাম ও আলমগীর ফরাজী একই এলাকার সিএনজি চালক ইকবাল হোসেনকে ঘর থেকে ডেকে মোটরসাইকেলে তুলে উত্তর পোমরা গ্রামের মইত্যাতলী দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যান। সেখানে তারা ইকবালকে গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর হাত পা ও মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখেন। পরে লাশের শরীরে এসিড ঢেলে ক্ষতবিক্ষত করেন। ২ আগস্ট স্থানীয় কাঠুরিয়ারা জঙ্গলে হাত পা ও মাথাবিহীন লাশ দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশটি ইকবালের বলে শনাক্ত করে পরিবার।
ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হলে পরবর্তীতে মামুন প্রবাসে পালিয়ে যান। অপরাপর আসামিরা গ্রেপ্তারের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। ইকবালকে তারা পোমরা ছাইনিপাড়া নিয়ে গিয়ে কৌশলে মদ পান করায়। পরবর্তীতে গহীন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।