বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমকে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। একই সাথে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সরওয়ার আলমকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ খবরে রাতেই চকরিয়ায় ব্যাপক বিক্ষোভ করছেন এমপির হাজার হাজার কর্মী সমর্থকরা।
সূত্র জানায়, স্থানীয় পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা আওয়ামী লীগের সাথে মতদ্বৈততার কারণে এমপি জাফর আলমকে চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দল থেকেও বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। এখন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চকরিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত ৮ জুন চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী ও চকরিয়া পৌরসভার নৌকার মনোনীত মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র আলমগীর চৌধুরী উপর হামলা ও দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এদিকে এমপি জাফর আলমকে অব্যাহতির প্রতিবাদে চকরিয়ার মহাসড়কে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা। গত বৃহস্পতিবার রাত দশটার দিকে পৌর শহরের প্রধান সড়কে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় ক্ষুব্ধ জনতার উদ্দেশ্যে এমপি জাফর আলম বলেন, দলীয় সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আমাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। গঠনতন্ত্রপরিপন্থী এই সিদ্ধান্ত আমরা মানি না।
তিনি জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানে উদ্দেশ্য করে বলেন, সাবধান হয়ে যান। হয় আমি থাকব, না হয় মুজিব থাকবে। আর ছাড় দেয়া হবে না। জীবন দিয়ে হলেও আমরা রাজ পথে থাকব। জাফর আলম বলেন, দলের জন্য আমি জেল জুলমের শিকার হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে যে সিদ্ধান্ত দিবেন, তা মেনে নেব। বিক্ষোভে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বুলবুলও বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।