Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চট্টগ্রামের পাহাড় সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২১, ৮:০৩ পিএম

নগরীতে এক নাগরিক সমাবেশ থেকে চট্টগ্রামের পাহাড় সুরক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামের পাহাড় ও নদী রক্ষায় এ ছাড়া কোন বিকল্প নেই। পরিবেশবাদী সংগঠন ‘পিপলস ভয়েস’ ও বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের (বিএনপিএস) যৌথ উদ্যোগে ২০০৭ এবং ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম ও রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন ও নাগরিক সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। ২০০৭ সালের ১১ জুন পাহাড় ধ্বসে চট্টগ্রামে ১২৭ জন নিহত হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর এই দিনটিকে ‘পাহাড় রক্ষা দিবস’ ঘোষণার দাবিতে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

সমাবেশে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, পাহাড় রক্ষার জন্য ২০০৭ সালের পর একটি কমিটি করা হয়। ১৪ বছরে ২১টি সভা করেছে তারা। পর্বতসম কমিটি মিটিং করার পর মুষিক প্রসব করে। তারা ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের সরে যেতে মাইকিং করে।

এরা তো এমনি পাহাড়ের পাদদেশে যায়নি। কেউ না কেউ এসব বসতি তৈরি করে। অসহায় মানুষদের টার্গেট করে। তারা বাধ্য হয়ে সেখানে যায়। আর যখন বৃষ্টি হয় তখন তাকে উচ্ছেদ করতে যায় প্রশাসন। যে ঘরে শিশু আছে তরুণী আছে অসুস্থ একজন আছে তারা কোন ভরসায় বাসস্থান ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে?

যারা এসব বাসস্থান তৈরি করে তারা কী একেবারেই ধরাছোঁয়ার বাইরে। ব্যক্তি মালিকানার পাহাড়ের দায় ব্যক্তির। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাহাড়ের দখলের দায় তো তাদের। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন ১১ জুনকে পাহাড় রক্ষা দিবস ঘোষণা করুন।

অধ্যাপক মো ইদ্রিস আলী বলেন, পাহাড় ধ্বসে নিহতদের স্মরণ করি গভীর সমবেদনার সাথে। আজো আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাম্যের সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধকতাগুলো অতিক্রম করতে পারিনি। পাহাড় অপরাজনীতি, অপেশাদার আমলাগিরির শিকার। ধ্বসের পর গঠিত কমিটি ২১ তম সভা করেছে। তাদের নির্লিপ্ততায় কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
২০০৭ সালে ১৩টি স্থানে আর ২০১৭ সালে অনেক স্থানে ধ্বস হয়। প্রকৃতি সতর্ক করতে চাইলেও আমরা তা হই না। এখানে পাহাড় শেষ করে বিন্না ঘাস লাগানো হয়। রক্ষাকারীরা ১৮টা পাহাড় কেটে নির্বাক থাকেন। তারা এই পরিবেশের অংশ না। আমরা পরিবেশের অংশীদার। আমলার মামলা দিয়ে নদী রক্ষা পাহাড় রক্ষা হবে না। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে আপনাকে চট্টগ্রামের পাহাড় নদী দেখতে হবে। তা না হলে চট্টগ্রামকে রক্ষা করা যাবে না। আপনি দ্রুত পদক্ষেপ নিন।

সভাপতিত্ব করেন পিপলস ভয়েসের সভাপতি শরীফ চৌহান। পিপলস ভয়েসের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আতিকুর রহমানের সঞ্চালনায় নাগরিক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুব মৈত্রীর খোকন মিয়া, নারী প্রগতি সংঘের এস এম এরশাদুল করিম, চেরাগী আড্ডার এডমিন শৈবাল পারিয়াল, কারিতাস চট্টগ্রামের শ্যামল মজুমদার, ইকো'র সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য এস এম আবু ইউসুফ সোহেল, সাংবাদিক মিন্টু চৌধুরী, স্বরূপ ভট্টাচার্য, শফিকুল ইসলাম সাজীব, সংগঠক সুপায়ন বড়ুয়া, ডা. মো. মহসিন, শিমুল দত্ত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্রগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ