Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিস হত্যা মামলা

হাসপাতাল পরিচালকের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জুন, ২০২১, ১২:০২ এএম

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুল করিম হত্যা মামলায় ‘মাইন্ড এইড হাসপাতাল’র পরিচালক ফাতেমা খাতুন ময়নাকে কেন জামিন দেয়া হবে না- মর্মে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম এবং মহি উদ্দিন শামীমের ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। ময়নার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এইচএম মানজিদ সিদ্দিকী এবং অ্যাডভোকেট আরিফুল হক রোকন। সরকার পক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ড. মো. বশিরউল্লাহ।

ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী জানান, গত বছরের ১২ নভেম্বর রাজধানীর ‘মাইন্ড এইড হাসপাতালে’ এএসপি আনিসুল করিম হত্যা মামলায় হাসপাতালটির পরিচালক ফাতেমা খাতুন ময়নাকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়। এজাহারে উল্লেখিত তথ্যমতে, ফাতেমা আদাবর ‘মাইন্ড এইড হাসপাতাল’ মালিকপক্ষের একজন পরিচালক। বিচারিক আদালত তাকে জামিন দেননি। ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেছেন ফাতেমা।

হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আনিসুলকে টানাহেঁচড়া করে একটি কক্ষে ঢোকানো হয়। তাকে হাসপাতালের ৬ জন কর্মচারী মিলে মাটিতে ফেলে চেপে ধরেন। এরপর আরও দুজন কর্মচারী তার পা চেপে ধরেন। এ সময় মাথার দিকে থাকা দুজন কর্মচারীকে হাতের কনুই দিয়ে তাকে আঘাত করতে দেখা যায়। হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আরিফ মাহমুদ তখন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

একটি নীল কাপড়ের টুকরা দিয়ে আনিসুলের হাত পেছনে বাঁধা হয়। কিছুক্ষণ পর আনিসুলকে উপুড় করা হয়। তার শরীর নিস্তেজ হয়ে পড়ায় একজন কর্মচারী তখন তার মুখে পানি ছিটান। পরে কর্মচারীরা কক্ষের মেঝে পানি দিয়ে পরিষ্কার করেন। ৭ মিনিট পর সাদা অ্যাপ্রোন পরা একজন নারী কক্ষে প্রবেশ করেন। ১১ মিনিটের মাথায় কক্ষের দরজা লাগিয়ে দেয়া হয়। ১৩ মিনিটের মাথায় তার বুকে পাম্প করেন সাদা অ্যাপ্রোন পরা নারী। হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের খাতায় লেখা রয়েছে ‘ব্রট ডেড’ অর্থাৎ সেখানে নিয়ে আসার আগেই আনিসুলের মৃত্যু হয়েছিল। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান। এক সন্তানের জনক আনিসুলের বাড়ি গাজীপুরে। সর্বশেষ আনিসুল করিম বরিশাল মেট্টোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ