মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরে বুধবার যুক্তরাজ্যে পৌঁছেছেন জো বাইডেন। সফরে জি-৭ সম্মেলনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি জোটটির বিভিন্ন দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন তিনি। তবে বিশেষ করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ওপর নজর থাকছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। বুধবার এরদোগান-বাইডেনের সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে কথা বলেছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, সফরে তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ বাইডেনের অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছে। দুই নেতার জন্যই এটি সরাসরি কূটনীতির একটি সুযোগ এনে দেবে। জেন সাকি বলেন, স্পষ্টতই একটি ন্যাটো সহযোগীর সঙ্গে গঠনমূলকভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্র জরুরি বলে মনে করে। একইসঙ্গে এমন ক্ষেত্রও রয়েছে যেখানে দুই দেশের মধ্যে জোরালো মতানৈক্য রয়েছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও করোনা মহামারির মতো বিষয়গুলো দুই নেতার আলোচনায় প্রাধান্য পাবে বলে জানান জেন সাকি। যুক্তরাজ্য থেকে আগামী ১৩ জুন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে বাইডেনের। সেখানেই ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। সেখানে ১৪ জুন এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠকের কর্মসূচি রয়েছে তার। উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার আগেই ২০১৯ সালে এক সাক্ষাৎকারে এরদোগানকে একনায়ক হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন বাইডেন। তুরস্কে এরদোগান বিরোধীদের সমর্থন দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। অন্যদিকে হোয়াইট হাউসে অভিষেকের পর বিশ্বনেতারা বাইডেনকে অভিনন্দন জানালেও শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে সময় নেন এরদোগান। এমন পরিস্থিতিতেই ব্রাসেলসে মুখোমুখি হচ্ছেন দুই নেতা। এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিতে চায় তুরস্ক। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছে আংকারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য তুরস্ক প্রস্তাব দিয়েছে এবং নিজেদের পক্ষ থেকে কিছু শর্ত রেখেছে যা নিয়ে মার্কিন ও ন্যাটোর শীর্ষ নেতাদের আগামী সপ্তাহের বৈঠকে পর্যালোচনা করা হবে। তাছাড়া গত সোমবার তুর্কী প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকার তুরস্কের এই প্রস্তাবকে আফগানিস্তানের জন্য তাদের মিত্রদের বন্ধুত্ব, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তার শর্ত সাপেক্ষ বিকল্প হিসাবে আখ্যায়িত করেন। তুর্কী প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, আফগানিস্তানে তুরস্কের অবস্থান করা নির্ভর করছে চাহিদা মোতাবেক শর্তাদি পূরণ হওয়ার উপর। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও যৌক্তিক সমর্থনের জন্যই বিভিন্ন শর্ত আরোপ করেছে আংকারা। হুলুসি আকার বলেন, যদি তুরস্কের সব শর্ত পূরণ হয় তবেই তারা কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনা করবে। আগামী সোমবার অনুষ্ঠিতব্য ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে জোটের শীর্ষ নেতারা আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনার করবেন বলে জানা যায়। সম্মেলনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বৈঠকের কথা রয়েছে। মিডল ইস্ট মনিটর, আনাদোলু এজেন্সি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।