মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নিউজিল্যান্ডে দেশজুড়ে ধর্মঘট করছেন নার্সরা। বেতন বৃদ্ধি এবং উন্নত কর্মপরিবেশের দাবিতে এবার সরব হয়েছেন তারা। বুধবার আট ঘণ্টার ধর্মঘটে অংশ নিতে নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ করেন প্রায় ৩০ হাজার নার্স।
করোনার কারণে অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং বেতন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অসন্তুষ্ট নার্সরা। সারা দেশজুড়ে বিভিন্ন পার্ক এবং হাসপাতালের সামনে প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ করেন তারা। এছাড়া পার্লামেন্ট অভিমুখে পদযাত্রা করা হয়।
এর আগে চলতি সপ্তাহে অসন্তোষের জেরে নার্সদের বেতন ১ দশমিক ৪ শতাংশ বাড়ায় ডিস্ট্রিক্ট হেলথ বোর্ড। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেছে নার্সদের সংগঠন। তাদের দাবি অনুযায়ী ১৭ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার। এ নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছে। যার যার স্থান থেকে কর্মবিরতির মাধ্যমে তারা তাদের দাবি জানিয়ে আসছেন। খবর দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দাবির পক্ষে ৮ জুন থেকে রাজধানী ওয়েলিংটনসহ দেশের বিভিন্ন শহরে কর্মবিরতি পালন করছেন নার্সরা। পাশাপাশি এইদিন এনজেডএনও’র নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশও করেছেন তারা।
৭ জুনের বিবৃতিতে এনজেডএনওর পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে নার্সদের যে বেতন-কাঠামো তা খুবই নিম্ন। এ কারণে দেশের তরুণ-তরুণীরা এই পেশায় আসতে চান না। বছরের পর বছর ধরে এই অবস্থা চলতে থাকায় দেশের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে নার্সদের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
ফলে, একদিকে যেমন কর্তব্যরত নার্সদের ওপর কাজের চাপ প্রতিদিনই বাড়ছে, অন্যদিকে হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরাও যথাযথ সেবা পাচ্ছেন না। বিশেষ করে চলমান কোভিড পরিস্থিতিতে এই সংকট তীব্র আকারে দেখা দিয়েছে।
এনজেএনও’র জ্যেষ্ঠ নেত্রী এবং ক্লিনিক্যাল নার্স স্পেশালিস্ট ডায়ানে ম্যাককুলক নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম নিউজহাবকে সরকারের সাম্প্রতিক বেতন বৃদ্ধির ঘোষণায় ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘গত বছর মহামারি শুরুর পর থেকে আমরা সম্মুখসারিতে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছি। তখন থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত নার্সরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শুধু যে নিজেদের জীবন হুমকির মুখে ফেলছে তাই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবনও হুমকির মুখে; আর সরকারে তরফ থেকে এই হচ্ছে তার প্রতিদান।’
নার্সদের ধর্মঘটের জেরে দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অর্ডার্নের। সমালোচকরা বলছেন, মহমারিকে সামাল দিয়ে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হলেও চিকিৎসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান যে অসাম্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে তার করোন আগ্রহ নেই।
নিউজিল্যান্ডের পেশাদার চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন অব স্যালারিড মেডিকেল স্পেশালিস্টের নেতা ডা. জুলিয়ান ভায়াস নিউজহাবকে বলেন, ‘চিকিৎসার পুরো প্রকিয়ায় সমন্বয় সাধনের কাজ করেন নার্সরা। যদি তারা ধর্মঘটে যায়, সেক্ষেত্রে এটা নিশ্চিত যে বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়েছে এবং এই সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করা প্রয়োজন।’ সূত্র: নিউজহাব, টাইমস অব ইন্ডিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।