পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
কাবা শরীফ আবারও ছায়াশূন্য হয়ে পড়তে যাচ্ছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি অর্থাৎ ১৬ জুলাই এই ঘটনা ঘটবে। এর আগে গত মাসের শেষ দিকে ২৮ মে তারিখেও ছায়াশূন্য অবস্থায় ছিল কাবা শরীফ।অর্থাৎ
এ বিষয়ে জেদ্দা অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটি জানিয়েছে, গত ২৮ মে (বৃহস্পতিবার) দুপুর নাগাদ মক্কার পবিত্র কাবা শরীফের সঙ্গে সরাসরি একই লাইনে অবস্থান করে সূর্য। সূর্যের কেন্দ্রবিন্দুটি সে সময় কাবার ঠিক ওপরে উঠে আসে। তারা আরও জানায়, ওই দিন মক্কানগরীতে ভোর ৫টা ৩৮ মিনিটে সূর্যোদয় হয়। উত্তরপূর্ব দিকটি থেকে সূর্য ধীরে ধীরে উপরে উঠতে শুরু করে এবং দুপুর ১২টা ১৮ মিনিটে তা ঠিক কাবা শরীফের মাথার ওপর উঠে আসে। আর সে কারণে সাময়িক সময়ের জন্য পবিত্র এই ঘরের কোনো দিকে কোনো ছায়া ছিল না।
প্রসঙ্গত, পৃথিবীর অক্ষরেখায় সূর্য ২৩.৫ ডিগ্রি কৌণিক অবস্থান নিয়ে বিষুব রেখার উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ঘুরতে থাকে। এভাবে একবার উত্তর গোলার্ধে একবার দক্ষিণ গোলার্ধে যায়। আর এই আসা যাওয়ার পথে বছরে দুইবার সরাসরি পবিত্র কাবা শরীফের ঠিক উপরে অবস্থান করে এটিকে ছায়াশূন্য করে দেয়।
একইভাবে আগামী ১৬ জুলাই মধ্যদুপুরে যখন সূর্য মধ্য গগনে থাকবে তখন মাটিতে কোনো ছায়া পড়বে না পবিত্র কাবা শরীফের। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা সূর্যের এই অবস্থানকে ‘ছায়াশূন্য (জিরো শ্যাডো)’ অবস্থা বলে চিহ্নিত করেছেন। বছরে অন্তত দুইবার মক্কায় এই ঘটনা ঘটে। সূত্র: আরব নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।