নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মনে আছে ইউরোপিয়ান সুপার লিগের কথা? না থাকার নিশ্চয়ই কোন কারণ নেই। কেন যেন কোপা আমেরিকার সঙ্গে সেই বিদ্রোহী লিগের একটা মিল দেখা যাচ্ছে। সেই লিগের সলিল সমাধি ঘটেছিল মাত্র ২৪ ঘন্টায়। ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিকে দিয়ে শুরু। এরপর একে একে সব দলগুলো ছুটে গেল সেই লিগ থেকে। যদিও শেষ পর্যন্ত থেকে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস। কিন্তু ১২ দলের মধ্যে তিন দল টিকে থাকা না থাকায় তেমন কোন পার্থক্য হবে না।
এবার কোপা আমেরিকা আয়োজন নিয়েও বেশ কয়েক পর্বের নাটক দেখছে ক্রীড়াপ্রেমীরা। প্রথমেই যৌথ আয়োজক হিসেবে কলম্বিয়া নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেয়। বিষয়টা এতটুকুতে সীমাবদ্ধ থাকলেতো ভালোই হতো। এরপরই আর্জেন্টিনার পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে, তারা একাই আয়োজন করতে পারবে শতবর্ষী এই টুর্নামেন্টের। দেশটির করোনা পরিস্থিতির অবনতির জেরে শেষ পর্যন্ত তারাও আয়োজনে ‘না’ বলে দেয়।
তাতে কী? নাটকের পরের পর্ব প্রস্তুত করে রেখেছিল ব্রাজিল। এবার কোপা আয়োজনের ঘোষণা আসে পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ী দেশটির তরফ থেকে। তবে তাতে খোলাখুলিই আপত্তি জানায় নেইমার-কাসিমিরোরা। সেই সঙ্গে ফুটবল পাগল দেশটির জনগনও ‘কোপা নয়, টিকা চাই’ প্লাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। দ্বিমুখী চাপের পরও ব্রাজিলিয়ান সরকার আসর আয়োজনে অনড় অবস্থান ঘোষণা করে। তবে আগে দুই দেশ করোনা ও ঘরোয়া পরিস্থিতির অবনতির কারনে সরে এসেছিল আয়োজন থেকে। এবার ব্রাজিলও কি সেই পথে হাঁটছে? প্রশ্নটা সামনে আসার সবচেয়ে বড় কারণ দক্ষিণ আমেরিকায় ব্রাজিলেই সবচেয়ে বেশি মানুষ করোনায় মারা গেছেন। সারা বিশ্বে মৃত্যুর রেকর্ডেও দেশটির অবস্থান দুইয়ে। সেই সঙ্গে খেলোয়াড় ও জনগনের একটা চাপতো আছেই।
তবে ব্রাজিলের নাজুক করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মাঝেই সেখানে কোপা আমেরিকার আয়োজনের সিদ্ধান্ত হতবাক করেছে অনেককে। ব্রাজিলসহ আরও কয়েকটি দেশের খেলোয়াড়রাও সেখানে খেলতে আপত্তি জানিয়েছে। বিদ্রোহীদের মধ্যে সরাসরি মুখ খুলেছেন ব্রাজিলের অধিনায়ক কাসিমিরো। বিদ্রোহীদের এ মুখপাত্র কোপা আমেরিকা আয়োজনের স্পষ্ট বিরোধী। ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল মাদ্রিদের এই মিডফিল্ডার জানান, বাংলাদেশ সময় আসছে ভোর সাড়ে ৬টায় প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের পর কোপা আমেরিকা নিয়ে তাদের অবস্থান সবার সামনে পরিষ্কার করবেন তারা।
কলম্বিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব প্রফেশনাল ফুটবলার্সের মাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে দেশটির খেলোয়াড়রা ঝুঁকি নিয়ে টুর্নামেন্টটি আয়োজনের বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানান। উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেস, এদিনসন কাভানি ও ফের্নান্দো মুসলেরা টুর্নামেন্ট আয়োজনের বিরোধিতা করেছেন প্রকাশ্যেই।
তবে, এমন দুরূহ পরিস্থিতিতেও টুর্নামেন্টে অংশ নিতে আপত্তি নেই আর্জেন্টিনার। আগামী ১৩ জুন শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আমেরিকার মহাদেশ সেরা প্রতিযোগিতাটিতে নিজেদের অংশ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ)। বাংলাদেশ সময় আগামী ভোর সাড়ে ৫টায় লিওনেল মেসিরা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মুখোমুখি হবেন কলম্বিয়ার। তার ফাঁকে এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ‘ফুটবল ইতিহাসে দলটি যে ক্রীড়া চেতনা দেখিয়েছে তার আলোকে কোপা আমেরিকা-২০২১ এ আর্জেন্টিনা অবশ্যই অংশ নেবে।’ আর্জেন্টিনার মতো বলিভিয়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুর্নামেন্ট আয়োজনের পক্ষে নিজেদের সমর্থন জানায়। একই দিন সকাল সাড়ে ৭টায় চিলির মুখোমুখি হবে দলটি।
এখন আর্জেন্টিনা ও বলিভিয়া পক্ষ থেকে কোপার ব্যাপারে আগ্রহ দেখানোতে বাকি দেশগুলোর জন্য পিছু হটে যাওয়াটা হবে সমস্যার। কারন কোন দিকে দল ভারী-এ বিবেচনায়ও যদি বাকিরা সিদ্ধান্ত নেয়; তাহলে কোপা আয়োজনে বাধা নেই। তবে এখন সময়ই বলে দেবে কাহিনী কোন দিকে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।