বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ জুন থেকে নোয়াখালী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বিশেষ লকডাউনের তৃতীয় দিনেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা দেখা যায়নি। শহরের বেশির ভাগ সড়কে গত কয়েকদিনের তুলনায় ছোট গাড়ির চাপ বেড়েছে। লকডাউন অমান্য ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৪০ ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল সোমবার সকালে জেলা শহর মাইজদী ও নেয়াজপুর ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। দোকান পাট, কাঁচাবাজারে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না কেউ। কাঁচাবাজারে মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ রয়েছে। কয়েকটি সড়কে যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। শহর থেকে দুরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে না গেলেও অভ্যন্তরীণ সড়কে সিএনজি, অটোরিকশা, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চলতে দেখা গেছে। শর্তসাপেক্ষে দুই জন যাত্রী নিয়ে সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চলার কথা থাকলেও বিধিনিষেধ মানছে কেউই। শহরের মুল সড়ক ছাড়া ভিতরের সড়কগুলোতে দেখা গেছে সিএনজি ও অটোরিকশাগুলো ৪-৫ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে, এতে পৌর এলাকায় সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে, মানুষেকে সচেতন করতে জেলা প্রশাসন ও নোয়াখালী পৌরসভার পক্ষ থেকে সচেতনতা মূলক মাইকিং করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা গেছে। বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে পুলিশের চেক পোস্ট। অন্যদিকে, লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নে বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ৪০টি মামলায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৩৩ হাজার ৫০০টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনের ৬ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ৬টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।