Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জার্মানিতে ধাক্কা খেলো চরম ডানপন্থিরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২১, ৬:১৮ পিএম

জার্মানিতে সেপ্টেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগে অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখলো চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ দল। অন্যদিকে ধাক্কা খেল এএফডি। জাতীয় রাজনীতির উপর পূর্বের রাজ্য নির্বাচনের ফলের প্রভাব নিয়ে বিতর্ক চলছে।

জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচনের আগে রাজ্য স্তরের শেষ নির্বাচনকে ঘিরে বাড়তি আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছিল। পূবের জনবিরল রাজ্য স্যাক্সনি-আনহাল্টে ভোট গ্রহণের আগে চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দলের জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিলেও বাস্তবে সেটা ঘটেনি। ম্যার্কেলের সিডিইউ সবচেয়ে শক্তিশালী দল হিসেবে আবার জোট সরকার গঠন করতে চলেছে। গত নির্বাচনের তুলনায় সাত শতাংশ বেশি ভোট পেয়ে বরং আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে রক্ষণশীল এই দল। জাতীয় রাজনীতির উপরে এই ফলাফল কতটা প্রভাব ফেলবে, সে বিষয়ে তর্ক-বিতর্ক থাকলেও এএফডি দলের শক্তিক্ষয়কে ইতিবাচক সংকেত হিসেবে দেখছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। যদিও ভোটের বিচারে তালিকায় দ্বিতীয় স্থান দখল করায় এএফডি এখনও যথেষ্ট জনসমর্থনের প্রমাণ দিতে পেরেছে।

সেপ্টেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে বিদায় নিচ্ছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল। কোন দলের নেতৃত্বে আগামী সরকার গঠন করা হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনো স্পষ্ট পূর্বাভাষ পাওয়া যাচ্ছে না। ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী আরমিন লাশেট ঘরে-বাইরে যাবতীয় সমালোচনা ও চাপ উপেক্ষা করে জয়ের লক্ষ্যে লড়াই করার কথা বলছেন। তার নেতৃত্বে দল আদৌ নির্বাচনি সাফল্য পেতে পারে কিনা, সে বিষয়ে সংশয়ের শেষ নেই। সম্প্রতি দক্ষিণের দুটি রাজ্যে দল অত্যন্ত খারাপ ফল করেছিল। বিশেষ করে সবুজ দলের চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী আনালেনা বেয়ারবক জনমত সমীক্ষায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালিয়ে যাওয়ায় লাশেট বাড়তি চাপের মুখে রয়েছেন।

এমন পরিস্থিতিতে রোববার স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্যে দলের জয় লাশেট-কে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে। যদিও সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাইনার হাসেলফের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তাকেই সেই সাফল্যের মূল কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী মাত্র ১২ শতাংশ ভোটার লাশেটের নেতৃত্বের কারণে দলকে ভোট দিয়েছে। সিডিইউ দল এমন চমকপ্রদ ফলাফলের কারণে বাড়তি উৎসাহ পেলেও সবুজ দল আগের তুলনায় সামান্য উন্নতি করতে পেরে কিছুটা দমে গেছে। পূর্বের রাজ্যগুলিতে সার্বিকভাবে সবুজ দল এখনো তেমন সমর্থন আদায় করতে না পারায় জাতীয় দল হিসেবে আগামী সরকারের নেতৃত্বের সম্ভাবনা প্রশ্নের মুখে পড়ছে।

তবে সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি ও বামপন্থি দল ‘ডি লিংকে'। এসপিডি একের পর এক নির্বাচনে ধারাবাহিক ব্যর্থতায় কার্যত অভ্যস্ত হয়ে পড়ায় জাতীয় স্তরেও সাফল্যের সম্ভাবনাও ধীরে ধীরে কমে চলেছে। অন্যদিকে পূবের রাজ্যগুলিতেই সাফল্য পেয়ে এসেছে বামপন্থি দল। স্যাক্সনি-আনহাল্ট রাজ্যে নির্বাচনি বিপর্যয় তাই সেই দলের জন্য বড় সংকট বয়ে আনতে পারে। এমনই প্রেক্ষাপটে নড়েচড়ে বসছে জার্মানির রাজনৈতিক দলগুলি। সেপ্টেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের আগে জনসমর্থন আদায় করতে ইশতেহার ও প্রচারের তোড়জোড় চলছে। সূত্র: ডিপিএ, এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জার্মানি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ