মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গির্জাগুলোতে অবাধ যৌন নির্যাতন বন্ধে চার্চের ব্যর্থতার দায় নিয়ে পোপের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন জার্মানির সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ ক্যাথলিক যাজকদের একজন মিউনিখের কার্ডিনাল রাইনহার্ড মার্ক্স। পদত্যাগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, গির্জার সদস্যদের সংঘটিত যৌন নির্যাতনে নিজের ব্যর্থতার দায়টুকু তিনি নিতে চান। রয়টার্স, ডয়েচে ভেলে
পোপ ফ্রান্সিসের কাছে দেওয়া চিঠিতে মার্ক্স জানিয়েছেন, তিনি মিউনিখ এবং ফ্রাইসিং এর আর্চবিশপের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করছেন। গির্জা এখন একটি ‘কানা গলিতে’ পৌঁছে গেছে বলেও মনে করেন তিনি।
জার্মান কার্ডিনাল রেইনহার্ড মার্কস বলেন, “ক্যাথলিক চার্চ একটি ‘ডেড পয়েন্ট’-এ পৌঁছেছে। আমি আশা করি, এমন পদত্যাগ থেকে নতুন কোনো পরিবর্তনের যাত্রা শুরু হতে পারে।’’
নিজের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে পোপ ফ্রান্সিসকে দেওয়া চিঠিতে মার্ক্স লিখেছেন, ‘গত কয়েক দশক ধরে গির্জার কর্মকর্তাদের মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় যে ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে, আমি তার দায় এড়াতে পারি না। তাই পদ থেকে সরে গিয়ে আমিও এর দায়ভার কাদে তুলে নিলাম।’
মার্ক্স জানান, গত ১০ বছরের বিভিন্ন তদন্ত ও প্রতিবেদন দেখে এটা তার কাছে স্পষ্ট হয়েছে যে- ক্যথলিক চার্চে কেবল ‘ব্যক্তিগত এবং প্রশাসনিক দুর্বলতা’ নয় বরং ‘প্রাতিষ্ঠানিক ও পরিচালনাগত’ দুর্বলতাও রয়েছে।
পোপকে গত ২১ মে লেখা এই চিঠিটি প্রকাশ করা হয় গত শুক্রবার। চিঠি প্রকাশ করার ব্যাপারে পোপের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ভ্যাটিকান থেকে কোনো উত্তর আসার আগ পর্যন্ত তাকে দায়িত্বপালন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগেও গির্জার কর্মকর্তাদের যৌন নির্যাতনের ঘটনায় সরব ছিলেন রাইনহার্ড মার্ক্স। গির্জার পক্ষ থেকে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। যৌন নির্যাতন বিষয়ে গির্জার বক্তব্যের প্রতিবাদে এপ্রিলে ফেডারেল ক্রস অব মেরিট পদক প্রত্যাখান করেন মার্ক্স। মার্কস ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত জার্মান বিশপস সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন।
মার্কসের নেতৃত্বে জার্মান বিশপস কনফারেন্সের গঠিত কমিশনের ২০১৮ সালের সমীক্ষায় দেখা গেছে, ১৯৪৬ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ১৬৭০ ধর্মযাজক যৌন আক্রমণ চালিয়েছে ৩৬৭৭ জন শিশুর ওপর, যাদের বেশির ভাগই ছেলেশিশু। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, যে ভুক্তভোগীদের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। সূত্র: ডয়চে ভেলে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।