Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেরকেলের উত্তরসূরির অপেক্ষায় জার্মানি

জার্মান নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

জার্মানির সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়েছে গতকাল। দেশটিতে দীর্ঘদিনের চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের পর এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতা পেতে যাচ্ছে জার্মানরা। তবে নির্বাচনের আগে জনমত সমীক্ষা বলছে, এবার ভোটের মাঠে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে চলেছে।

আট কোটি মানুষের দেশ জার্মানিতে ভোটারের সংখ্যা প্রায় ছয় কোটি। প্রধান তিন দল হলো ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন, সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টি। তবে কোন দলই এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না এটা নিশ্চিত। ভোটাররা দু’টি করে ভোট দেবেন। একটি ভোট সরাসরি প্রার্থী নির্বাচনের, অপরটি পছন্দের দলকে। প্রার্থী ও দল ভিন্ন হলেও চলবে। দ্বিতীয় তালিকায় দলীয় সমর্থনের অনুপাতের ভিত্তিতে সংসদে অর্ধেক আসনে প্রার্থী স্থির করা হয়। তবে কে চ্যান্সেলর হতে যাচ্ছেন তা পরে নির্ধারিত হবে। পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা চ্যান্সেলর নির্বাচিত করবেন।

২৯৯টি সংসদীয় এলাকায় সরাসরি নির্বাচন হয়েছে। অন্য আসনগুলো দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাত অনুযায়ী মিমাংসিত হবে। নিয়ম অনুযায়ী, দলগুলো তাদের ভোটপ্রাপ্তির সংখ্যাতত্ত্বের ওপর ভিত্তি করেও মনোনীত প্রার্থীদের পার্লামেন্টে পাঠাতে পারবে। কোনো দল ৫ শতাংশের কম ভোট পেলে পার্লামেন্টে যাওয়ার গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। এবারের নির্বাচনে ৪৭টি দল ৬ হাজার ২১১ জন প্রার্থী দিয়েছে। ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬ হাজার। আর ভোটের ফলাফল স্থানীয় সময় রাত ০৮ টার মধ্যেই প্রকাশ হয়ে যাওয়ার কথা।

২০০৫ সাল থেকে টানা ১৬ বছর জার্মানির চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আঙ্গেলা মেরকেল। এবারের নির্বাচনে তিনি যে লড়ছেন না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন। রোববারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন চ্যান্সেলরের হাতে ক্ষমতা তুলে দিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নেবেন দেশটির জনপ্রিয় এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এদিকে এবারের নির্বাচনে কে জয়ী হবেন, তা নিয়ে নানা অনিশ্চয়তা রয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেয়া মূল তিন দলই জয় পেতে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছে। সম্প্রতি এক জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থী নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি দেশের তিন-চতুর্থাংশের বেশি ভোটার। যদিও এর মধ্যে ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন রেকর্ডসংখ্যক জার্মান নাগরিক।

জনমত সমীক্ষা বলছে, এবারের নির্বাচনে মেরকেলের ক্ষমতাসীন ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের (সিডিইউ) সঙ্গে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) তুমুল লড়াই হবে। শক্ত অবস্থানে রয়েছে পরিবেশবাদী গ্রিন পার্টিও। প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে আছেন এসপিডি দলের নেতা ওলাফ শলৎজ। তিনি বর্তমান জোট সরকারে অর্থমন্ত্রী ও ডেপুটি চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্য দুই প্রার্থীর থেকে লড়াইটা তার জন্য তুলনামূলক সহজ হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তবে তারা বলছেন, শলৎজ জয় পেলেও জোট গঠনের জন্য অন্য দুই দলের সমর্থনের প্রয়োজন হতে পারে। এ নিয়ে শলৎজ বলেন, ‘ভোটারদের নিয়ে জোট গঠনই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা এসপিডিকে যতটা শক্তিশালী করবে, আমাদের জন্য সরকার গঠন ততটা সহজ হবে।’

নির্বাচনে মেরকেলের দল সিডিইউ থেকে এবার চ্যান্সেলর প্রার্থী হয়েছেন আরমিন ল্যাশেট। জার্মানির সবচেয়ে জনবহুল নর্থরাইন ভেস্টফেলিয়া রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সবশেষ জরিপে ল্যাশেটের দল এসপিডি দলের তুলনায় পিছিয়ে আছে। এর মধ্যে স্থানীয় সময় শনিবার আরমিন ল্যাশেটের সঙ্গে এক প্রচারণা র‌্যালিতে যোগ দেন মেরকেল। সেখানে ল্যাশেটের পক্ষে তিনি বলেন, জার্মানিতে স্থিতিশীলতা দরকার। দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রয়োজন রয়েছে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের। আর এ কাজের জন্য একমাত্র যোগ্য আরমিন। সূত্র : ডয়চে ভেলে, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জার্মান নির্বাচন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ