পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লকডাউনে বাসা-বাড়িতে বসে থাকা অবস্থায় পরিবারের কারো না কারো ওজন কমবেশি বেড়েছে। ওজন বেড়ে যাওয়ার অর্থই হচ্ছে আরো কিছু শারীরিক সমস্যাকে আমন্ত্রণ জানানো। অপরদিকে কর্মস্থলে একটানা বসে কাজ করার ফলে ঘাড় ও কোমরে ব্যথা- এসব সমস্যা তো আছেই। বাড়তি ওজন কমাতে শরীরচর্চা করলেই হবে না, সেই সঙ্গে ডায়েটও মেনে চলতে হবে। ডায়েট আর শরীরচর্চা একসঙ্গে হলে তবেই কমবে ওজন।
সকালের নাশতা বা রাতের খাবারে গমের আটার রুটি করে থাকেন। তবে নিজের ওজন কমাতে চাইলে গমের পরিবর্তে ওটসের আটা দিয়ে তৈরি রুটি খেতে পারেন। ওটসের আটা কার্বোহাইড্রেটে পূর্ণ এবং কোলেস্টেরলের স্তর কম করে হৃদয় সুস্থ ও মজবুত রাখতে সাহায্য করে। ওটসের আটার রুটি খেলে বার বার ক্ষুধা পায় না। এর ফলে ওজন কমাতে সাহায্য করে।
জানেন কি কত পুষ্টি পাওয়া যায় ওটসের আটায়? ১০০ গ্রাম ওটসে ক্যালোরি ৩৮৯, পানি ৮%, প্রোটিন ১৬.৯ গ্রাম, কার্বস ৬৬.৩ গ্রাম, চিনি ০ গ্রাম, ফাইবার ১০.৬ গ্রাম, ফ্যাট ৬.৯ গ্রাম।
গ্লুটেন ফ্রি এই আটা : আটা, যব, বার্লি, রাই, ময়দার মধ্যে মিশে থাকা গ্লুটেন নামক বস্তুটি মোটেই শরীর-বান্ধব নয়। এতে প্রোটিনের মাত্রা প্রায় ৮০ শতাংশ। গ্লুটেন খুব দ্রুত ঠাণ্ডা পানিতে মিশে আটা বা ময়দার মণ্ড বানাতে সাহায্য করে। পাউরুটি, কেক-পেস্ট্রি-পিৎজাকে ফুলতে সাহায্য করে। সঙ্গে অনেকটা বাতাসও ঢুকে যায়। যদি অন্ত্র এই প্রোটিন হজম করতে সক্ষম না হয় তবে এটি ক্ষুদ্রান্ত্রের আস্তরণের সঙ্গে লেগে থাকে। যার কারণে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা, মুখের আলসার ইত্যাদির মতো অনেক সমস্যা দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে ওটস দুর্দান্ত বিকল্প হতে পারে। এটি আঠালো মুক্ত এবং সহজে হজম হয়।
ওটসের আটা সুস্বাদু : ওটসের আটা অন্যান্য শস্য থেকে স্বাদে কিছুটা আলাদা। এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনি ময়দা বা অন্যান্য শস্য থেকে তৈরি বাইরে খুঁজে পাওয়া এমন অনেকগুলো পদার্থ গ্রহণ করতে চান তবে ওটসের আটা আপনার জন্য দুর্দান্ত বিকল্প। আপনি যদি মাফিন বা প্যানকেক খেতে পছন্দ করেন তবে আপনি এটিও করতে পারেন। এটি তাদের স্বাদ বাড়িয়ে তুলবে এবং আপনাকেও স্বাস্থ্যকর করে তুলবে।
রক্তে চিনির স্তর ঠিক রাখে : এতে ভিটামিন বি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ফাইবার, ডায়েটারি ফাইবার এবং খনিজগুলো পাওয়া যায় যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল এবং চিনির মাত্রাজনিত সমস্যা থাকলে ওটস খাওয়া উপকারী। ওটসে দ্রবণীয় ফাইবার ও বিটা গ্লুকান থাকে যা রক্তে শর্করাকে নিয়ন্ত্রণ করে।
হজম করা সহজ : একদিকে গম বা যব ময়দা থেকে তৈরি জিনিস হজম করার জন্য প্রচুর চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ওটস থেকে তৈরি পণ্য হজম করা খুব সহজ। ওটসের মাধ্যমে তৈরি খাবারগুলো আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য উদ্যমী রাখতে সহায়তা করে। একই সঙ্গে এতে উপস্থিত ফাইবারটি আপনার পেট দীর্ঘ সময় ধরে রাখে। এর অনুরূপ বৈশিষ্ট্যগুলো আপনার ওজনকে ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ : যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন বা যাদের রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে গেছে, এটি তাদের জন্য উপকারী। এটি চিনির স্তর বাড়তে বাধা দেয়। ওটস ক্যালসিয়াম এবং আয়রন সমৃদ্ধ। যেখানে ক্যালসিয়াম আপনার হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করে। একই আয়রনের কারণে আপনি রক্তাল্পতার মতো রোগও এড়াতে পারেন।
ওটসের আটার ডায়েটের একটি অংশ তৈরি করুন : ওটস বিশ্বের অন্যতম স্বাস্থ্যকর শস্য, এতে প্রচুর ভিটামিন, খনিজ এবং উদ্ভিদ যৌগ রয়েছে। বিটি গ্লুকানস এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার। অনেকগুলো স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়। এটি নিয়মিত সেবন করলে কোলেস্টেরল, হৃদরোগ এবং লো চিনির মাত্রা বজায় থাকে। এটি খেলে পেট দীর্ঘক্ষণ পরিপূর্ণ থাকে এবং ঘন ঘন ক্ষুধা কমে যায়। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, ফুড এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।